ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক নারীকে (২১) ধর্ষণের দায়ে আসামি মো. ইসমাইল শেখকে (৪৭) আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার আদেশ প্রদান করেছে আদালত। ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এই রায় প্রদান করেন।
এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে জেল হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। আসামি মো. ইসমাইল শেখ ফরিদপুরের সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চতর খাড়া পাড়া গ্রামের আমিন শেখের পুত্র।
একই সাথে ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থ আদায় করে জেলা কালেক্টরকে ভিকটিমকে প্রদান করবেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই রায় প্রদান করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০২২ সালের ১ আগস্ট থেকে ১৫ অক্টোবর এর মধ্যে সময়ে দিনের বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুরের সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কবির মোল্লার পাটক্ষেতে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এই বিষয় নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠকে আসামি মো. ইসমাইল শেখ ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে। দোষী সাব্যস্ত হলে সে সালিশ বৈঠক থেকে কৌশলে পালিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে মেয়েটি ২০২৩ সালের ৬ জুন বিকালে নিজ বাড়িতে মৃত সন্তান জন্ম দেয়। ঘটনার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে নবজাতকের মরদেহ নিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত ও ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় ২০২৩ সালের ৯ জুন একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
রায়ের বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন জানান, আসামি মো. ইসমাইল শেখকে বাকপ্রতিবন্ধী ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে (২১) ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করে ফরিদপুর জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক আমৃত্যু দণ্ডে দণ্ডিত করার আদেশ দেন এবং একই সাথে দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। যা জেলা কালেক্টর আসামির জমিজমা বিক্রি করে ভিকটিমকে প্রদান করবেন। আদালতে আমরা সর্বোচ্চ বিচার পেয়েছি, এই রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ খুশি হয়েছি বলে তিনি জানান।