যশোর প্রতিনিধি
যশোর পানি উন্নয়ন বিভাগের (বাপাউব) আউটসোর্সিংয়ের কর্মচারি মাহফুজ হাসান শান্তর বিরুদ্ধে দশের অধিক বিয়ে করে অশ্লীল ভিডিও তৈরি ও পর্ণ ব্যবসা চালানোর মতো নানা গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তিনি একসঙ্গে দুইটি চাকরি করলেও উভয়পক্ষেই কার্যত কাজ না করা এবং বেতনভাতার নামে পাঁচ লাখেরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
এই অভিযোগ তুলে যশোর পানি উন্নয়ন বিভাগের গেট অপারেটর আশরাফুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে আশরাফুল ইসলাম উল্লেখ করেন, মাহফুজ হাসান শান্ত যশোর পানি উন্নয়ন বিভাগের আউটসোর্সিং কর্মচারী হিসেবে খালাসী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও অফিসে কোন কাজ করেন না। তিনি যশোরের “হিউম্যান রাইটস ভয়েস বাংলাদেশ” নামে একটি সংগঠনে অফিস সচিব হিসেবে সময় কাটান।
পানি উন্নয়ন বিভাগ থেকে গত তিন বছরে ৫ লাখ ৮২ হাজার ২২৮ টাকা সরকারি বেতন ভাতা নিয়েছেন, তবে প্রকৃতপক্ষে কোনো কাজ করেননি। এলাকায় তার বিরুদ্ধে ভয়াবহ নারী কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে প্রতারণার মাধ্যমে দশের অধিক নারীর সঙ্গে বিয়ে করেছেন। বর্তমানে তার ১১তম বউ রয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, শান্ত নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ধনী পরিবারের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থসহ তাদের সবকিছু হাতিয়ে নেন। গোপনে নারীদের অন্তরঙ্গ ছবি ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় এবং এসব ছবি পর্ণ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে অর্থ উপার্জন করেন। যার কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নারী কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
আশরাফুল ইসলাম দাবি করেন, এই বিষয়গুলো প্রমাণিত হলেও এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ হয়নি। তিনি মাহফুজ হাসান শান্তকে আইনের আওতায় এনে যথোপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে যশোর পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী বলেন, “মাহফুজ হাসান শান্তর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এরপর তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.