শারমিন সুলতানা, পলাশ (নরসিংদী)
নরসিংদীর ঘোড়াশাল এলাকায় অবস্থিত শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতুর টোল প্লাজায় রশিদ ছাড়া টোল আদায় হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে সরকার প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টোল আদায়কারী কিছু কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে চালক ও যানবাহন মালিকদের কাছ থেকে রশিদ ছাড়াই নগদ টোল আদায় করে আসছিল। এতে আদায়কৃত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না পড়ে ব্যক্তিগত পকেটে ঢুকছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বর্তমানে টোল আদায় কার্যক্রম সরাসরি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), নরসিংদীর তত্ত্বাবধানে চলছে। এর আগে এই দায়িত্বে ছিল সিএনএস (CNS) নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, যার কার্যকাল ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে শেষ হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন শত শত গাড়ি পারাপার হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টোলের রসিদ দেওয়া হয় না। একাধিক ট্রাক ও প্রাইভেট কারের চালক অভিযোগ করেন, টাকা নেওয়ার পরও টোল প্লাজার কর্মচারীরা রসিদ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে ক্ষুব্ধ চালক ও এলাকাবাসী কর্মচারীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা।
ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে সওজের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ইয়াছিন স্বীকার করেছেন যে, রশিদ ছাড়া টোল আদায়ের ঘটনা সত্য। একই অভিযোগের ভিত্তিতে ছয়জন কর্মচারীকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে এভাবে গোপনে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অথচ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে রাষ্ট্রের রাজস্ব খাতে ক্ষতি হচ্ছে কোটি টাকারও বেশি। এলাকাবাসী সরকারের কাছে উচ্চ পর্যায়ে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন, যাতে দুর্নীতির মূল হোতাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা যায়।

