কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
কলাপাড়ায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকে জীবননাশের হুমকি ও মিথ্যা মামলা হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন করেছেন বৈদ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক মো. সোবাহান মুন্সি।
সোমবার বেলা এগারোটায় কলাপাড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত।হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তার স্বজন মো. নয়া মিয়া ও মো. আলী হোসেন।লিখিত বক্তব্য সোবাহান মুন্সী বলেন, তার ছোট ভায়রার ছেলে আরিফুর রহমান ৪ বছর ধরে সৌদিতে অবস্থান করছেন। এ বছরের শুরুতে আরিফের মাধ্যমে তার নাতি সিফাতকে তার কাছে পাঠানোর সকল প্রস্তুতি নেন তিনি। এসময় তার পার্শ্ববর্তী এবং তার ছাত্র মো. মামুন সিকদার তার বড়ো ভাই, মঞ্জু সিকদার ও বোন জামাই নিজাম মোড়ল সহ তার বাড়িতে এসে মামুনকে বিদেশে যাওয়ার ব্যাবস্থা করে দেয়ার অনুরোধ জানা।
তিনি সরল বিশ্বাসে তাদের কথা মতো মামুনকে বিদেশে পাঠানোর জন্য তার ভায়রা ছেলের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তার নাতি ও মামুন সহ দুজনের কাগজপত্র রেডি করেন আরিফ। তখন মামুন সহ তার পরিবারের সদস্যদের সাথে বিদেশে পাঠানোর ভিসার সকল প্রসেসিং ও আকামা বাবদ ৫ লক্ষ টাকা ধার্য্য হয়।
প্রায় এক সপ্তাহ পরে, মামুন পাসপোর্ট এর সাথে তাকে ১ লক্ষ টাকা দেন, পর্যায়ক্রমে তিনি বাকি ৪ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন। দেশের সকল প্রক্রিয়া শেষ এবছরের ২৫ জুন মামুন সিকদার ও তার নাতি সিফাত একই সাথে সৌদি আরবে তার ভায়রার ছেলে আরিফুর রহমান এর কাছে পৌঁছান।
সেখানে পৌছানোর পরে তার সাথে কথা অনুযায়ী তাকে লোড অনলোডের সাইডে ৮ দিনের মধ্যে আকামা সহ তাকে তার কাজে দেয়া হয়। মামুন কাজে যোগদানের ৮ দিনপর জানায় এই কাজ তিনি করতে পারবে না, এখানে অনেক রোদ, প্রচন্ড গরম, পানি খেতে পারেনা। এবং বাসে চলাচল করতে পারেনা বলে কাজ করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
অপর দিকে মামুন সিকদারের পরিবার মামুন কে দেশে আনার জন্য তাকে হুমকি প্রদান করেন।
এছাড়া বিদেশে থাকা তার ভায়রার ছেলেকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে মামুন সিকদার কে তার ভায়রার ছেলে জানান তার দেশে যেতে টিকেট সহ মোট ৮০ হাজার খরচ লাগবে।
একথা শুনে মামুন তার বাড়ি থেকে বিকাশের মাধ্যমে সৌদি আরবে ২০ হাজার টাকা পাঠান এবং তার ভায়রার ছেলে কাছে টাকা টা দেন। ভায়রার ছেলে আরিফ মানবতা দেখিয়ে ২০ হাজার টাকার সঙ্গে বাংলাদেশি ৬০ হাজার টাকা দিয়ে বিমানের টিকেট বুকিং করে দেন ৷
চলতি বছরের ১ আগষ্ট মামুনকে বিমানে তুলে দেন। দেশে এসে প্রায় এক সপ্তাহ পড়ে মামুন সিকদার তাকে কল করে তার বিদেশে যাওয়ার জন্য যে টাকা দিয়েছিলো সেই টাকা ফেরত চান।
ওই শিক্ষক আরো বলেন, মামুন সিকদারের পিতার মৃতুর পড়ে ৩ বছর আগে তাদের ৩০০ শতাংস জমি তার কাছে ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কটকবলা রাখেন। পরবর্তীতে মামুন তাদের কটকবলা দেওয়া জমিনের ৩ লক্ষ টাকা ও ফসল দিবেনা বলিয়া তার বিরুদ্ধে ও সৌদিতে থাকা তার ভায়রার ছেলেকে আসামি করে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটা মিথ্যা মামলা (৭৫১/২৫) দায়ের করেন।
মামলাটি বর্তমানে কলাপাড়া থানার ওসিকে তদন্ত্য করিয়া প্রতিবেদনে দাখিল করিতে নির্দেশ দেন আদালত। মামুনের দেয়া মিথ্যা মামলা ও তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা প্রতিবাদ জানান শিক্ষক সোবাহান মুন্সী।এ বিষয়ে জানতে মামুনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোনটি রিসিভ করেনি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.