রাসেল আহমেদ,খুলনা প্রতিনিধি
খুলনার রূপসা উপজেলায় বৃহস্পতিবার খুলনা চার (তেরখাদা- রুপসা-দিঘলিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই নেতার কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ফলে অন্তত সাতজন আহত হন। এই ঘটনার পর জেলা বিএনপি দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—পারভেজ মল্লিকের গ্রুপের শাহজালাল শেখ শান্ত, শাহজাদা আলমগীর, আকরাম হোসেন, মেহেদী হাসান বুলু ও ইমরান হোসেন এবং আজিজুল বারী হেলালের গ্রুপের জাহিদ শেখ।
সাবেক ছাত্রদল নেতা শাহজালাল শেখ শান্ত বলেন, “খুলনা-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী পারভেজ মল্লিকের পক্ষে রূপসা সদরে তিনটি কর্মসূচি ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজদিয়া কলেজ রোডে পৌঁছালে অন্য পক্ষের ৩০–৩৫ জন লাঠিসোঁটা, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমরা গুরুতর আহত হই। পরে পারভেজ মল্লিকের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফা হামলা হয়।”
টিএসবি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি খান আনোয়ার হোসেন বলেন, “দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে।”
পারভেজ মল্লিক জানান, “দলীয় কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে গিয়ে আমাদের কর্মীরা হামলার শিকার হয়েছেন। এর আগে দিঘলিয়া ও তেরখাদা এলাকায়ও এমন ঘটনা ঘটেছে। বারবার এ ধরনের ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল মালয়েশিয়ায় অবস্থান করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, “সংঘর্ষের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় দায়িত্বশীলদের পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে কি না তা যাচাই করতে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আনিসুজ্জামান জানান, “দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

