দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর আসনের বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ও ঢাকা উত্তর মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল বলেছেন, গণভোট নয়, জনগণ সরকার গঠন করবে ব্যালটে। জনগণের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।
আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের আল্লারদর্গা বাজারে বিএনপি’র একটি আঞ্চলিক অফিস উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে জনগণ পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত। দেশের মানুষ ভোটের মাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ করতে চায়। তাই যে কোনো প্রকার গণভোট বা প্রহসনের মাধ্যমে নয়, বরং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার গঠিত হতে হবে।
জুয়েল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, জনগণই রাষ্ট্রের মালিক। তারা তাদের ভোটের মাধ্যমে যাকে চাইবে, তাকেই ক্ষমতায় বসাবে। সেই অধিকার কেড়ে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এ সময় তিনি আরোও বলেন, বিএনপির কিছু বেইমান এমপিদের কারণেই ওয়ান ইলেভেন সরকার সমর্থন পেয়েছিল। তাদের সমর্থনের ফলেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছিল। ২০০৮ সালের সময়টি ছিল বিএনপির জন্য একটি ঐতিহাসিক ও কালো অধ্যায়। সে সময় ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধভাবে গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল, যাকে আমরা ওয়ান ইলেভেন সরকার হিসেবে চিনি।
তিনি আরও বলেন, ওই ওয়ান ইলেভেন সরকারকে মান্নান ভূঁইয়ার হাত ধরে যেসব বিএনপি এমপি সমর্থন দিয়েছিলেন, তারা আজ দালাল ও বেইমান হিসেবে চিহ্নিত। সেই প্রেক্ষাপটেই তৎকালীন সময় দৌলতপুর আসনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দৌলতপুর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেনকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। দলের ও দেশের দুঃসময়ে যারা পালিয়ে গিয়েছিল, তাদের সঙ্গে জনগণ আর যাবে না।
দৌলতপুরের রাজনীতি প্রসঙ্গে জুয়েল বলেন, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএনপির দুঃসময়ে দলের পাশে থেকেছেন এবং স্বচ্ছ রাজনীতি করেছেন। আমিও তার রাজনীতির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তার হাত ধরে দৌলতপুরে রাজনীতি করতে চাই। সে করনে বিএনপি থেকে এখানকার এমপি পদে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি এবং দৌলতপুরের মানুষ আমাকে সাদরে গ্রহণ করেছে।
পরে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে ৩১ দফা কর্মসূচির সুফল তুলে ধরে জনসাধারণের মাঝে বক্তব্য রাখেন ও লিফলেট বিতরণ করেন।
এর আগে বিকেলে তিনি উপজেলার রিফায়েতপুর হাই স্কুল মাঠে “জনি সরকার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট”-এর ফাইনাল খেলা উদ্বোধন করেন এবং খেলা উপভোগ করেন। এ সময় নতুন প্রজন্মকে খেলাধুলায় আগ্রহী হওয়ার আহ্বান জানান এবং খেলোয়াড়দের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
দিন শেষে রাতে পিয়ারপুর ইউনিয়নের হলুদবাড়িয়া এলাকায় এক উঠান বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি ৩১ দফা কর্মসূচির সুফল তুলে ধরেন ও লিফলেট বিতরণ করেন।

 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
								                                                                                     
                                    
 
                                 
                                 
                                 
                                