শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ)-এর নিয়োগ পরীক্ষায় অভিনব কৌশলে জালিয়াতির চেষ্টা করার অভিযোগে চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
পরীক্ষাকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে সন্দেহভাজন দুই পরীক্ষার্থীসহ চারজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে আরডিএ’র মহাপরিচালক ভবনে অফিস সহায়ক পদে লিখিত পরীক্ষা এবং অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুটি পদে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়—অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (৭টি পদ) ও অফিস সহায়ক (১১টি পদ)।
অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে আবেদন করেন ৫ হাজার ৮১৯ জন। লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ৯৫৮ জন, এর মধ্যে ৫৯ জন ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
অন্যদিকে, অফিস সহায়ক পদে আবেদন করেন ৫ হাজার ২৭০ জন, লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ১ হাজার ৩২৯ জন এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৬৫ জন প্রার্থী।
সূত্রে আরও জানা যায়, অফিস সহায়ক পদে মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে সন্দেহজনক আচরণের কারণে শাপলা খাতুন ও জিহাদ আফ্রিদি নামের দুই প্রার্থীকে আটক করা হয়। এসময় তাদের সহায়তার অভিযোগে মাইদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিসহ তিনজনকে প্রশাসনিক ভবনে আটক রাখে কর্তৃপক্ষ।
মাইদুল ইসলাম নিজেকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পরিচয় দেন। পরে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এছাড়া, জালিয়াতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার সন্দেহে ফারুক আহমেদ নামে আরও এক ব্যক্তিকে আটক করে স্থানীয়রা। পুলিশ খবর পেয়ে তাকেও থানায় নিয়ে যায়।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নুল আবেদীন বলেন,“নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির সন্দেহে মোট চারজনকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
আরডিএ’র মহাপরিচালক ড. এ. কে. এম. অলি উল্যা বলেন,“পরীক্ষা চলাকালে ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন বলেন,“ঘটনা নিয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, না পেলে আটক ব্যক্তিদের নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হবে।”

