পটুয়াখালী প্রতিনিধি
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর পটুয়াখালীর রাজনৈতিক অঙ্গন যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেন,,
“রাজনীতিতে আমাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল, কিন্তু কখনো প্রতিহিংসা ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, “দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে কাজ করছি। গ্রুপিং রাজনীতিতে থাকতেই পারে, কিন্তু তা কখনো বিদ্বেষ বা বিভেদে রূপ নেয়নি।”
আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন,
“বিএনপি এখন এমন একটি দল, যেখানে ৩০০ আসনের বিপরীতে দুই হাজারেরও বেশি যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। অন্য অনেক দলের মতো আমাদের যোগ্য প্রার্থীর অভাব নেই। যারা মনোনয়ন পেয়েছেন ও যারা পাননি — সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা চাই পটুয়াখালীসহ সারাদেশে বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী মাঠে নামুক। এই ঐক্যই আমাদের শক্তি।”দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকাল থেকেই পটুয়াখালী শহরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়।
দলীয় নেতা-কর্মীরা দলে দলে এসে আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বাসভবন সুরাইয়া ভবনের সামনে ভিড় জমান।
দুপুরে আলতাফ হোসেন চৌধুরী জেলা বিএনপির সভাপতি সেনাংশু সরকার কুট্টির সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান  জেলা বিএনপির কার্যালয়। এখানে সভাপতির নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং স্লোগানে মুখরিত পরিবেশে তাঁকে স্বাগত জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এবং স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, “প্রথমে জানতাম না ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা কি করছে। পরে দেখলাম তারা রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করছে, তাদের সঙ্গে শিক্ষক ও অভিভাবকরা নেমে এসেছে। সেই আন্দোলনের প্রতি আমাদের সমর্থন ছিল দেশের কোটি মানুষের সমর্থন। তাদের আত্মত্যাগেই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটেছে।”
মনোনয়ন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিএনপি এখনো সব আসনের তালিকা প্রকাশ করেনি। শরিক দলের জন্য কিছু আসন সংরক্ষিত আছে। আমাদের অনেক বাঘা নেতা এবার মনোনয়ন পাননি, কিন্তু সবাই দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন — এটাই তারেক রহমানের নির্দেশ।”
মতবিনিময় শেষে তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি সেনাংশু সরকার কুট্টির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জেলা বিএনপির কার্যালয়।সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
পটুয়াখালীতে আলতাফ হোসেন চৌধুরীর এই সফর ও মনোনয়নকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নেতাকর্মীরা বলছেন —
“সব বিভেদ ভুলে এখন একটাই লক্ষ্য, দলের মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করা।”

                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    