যশোর প্রতিনিধি
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি দাবি করেছিলেন, কাজের বিনিময়ে ঘুষ খাননি, তিনি নাকি কলা খেয়েছেন। এরপর দেশজুড়ে আলোচনায় উঠে আসে তার নাম। শেষ পর্যন্ত তদন্তে বেরিয়ে আসে, তিনি কলা নয়, আসলে ঘুষই খেয়েছিলেন।
বুধবার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম. শাহীন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৬ অক্টোবর যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে একটি গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে দুদকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এবং কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবর আজিজী উপস্থিত ছিলেন। গণশুনানিতে রুস্তম আলীসহ আরও চারজন ব্যক্তি জমি ইজারা প্রদানের বিষয়ে জেলা পরিষদে কর্মরত উচ্চমান সহকারী মো. আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনেন। শুনানিতে অভিযোগটি প্রমাণিত হয়।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনার (তদন্ত) অভিযুক্ত আলমগীর হোসেনকে তাৎক্ষণিক অন্যত্র বদলিসহ সাময়িক বরখাস্তের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। জেলা পরিষদের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ইতোমধ্যে স্থানীয় ও জাতীয় পত্র-পত্রিকাসহ বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যার ফলে ঐতিহ্যবাহী যশোর জেলা পরিষদের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে ।
দুদকের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে এবং জেলা পরিষদ কর্মকর্তা/কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ১৯৯০–এর ৪৪(১) বিধি ও জেলা পরিষদ আইন, ২০০০–এর ৩৯(৩)(খ) ধারার ক্ষমতাবলে আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.