দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আড়াইবছর বয়সী কন্যা শিশু সন্তানকে গলায় রশি দিয়ে হত্যার পর মা নিজেও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনার দু’দিন পার হলেও মামলা হয়নি আজও।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর গ্রামে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় মামলা না হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সৌদি প্রবাসী রহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেশমা খাতুন (২৫) পারিবারিক অশান্তি ও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারনে মানষিক অশান্তিতে ছিলেন। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রেশমা খাতুন তার কন্যা সন্তান লামিয়াকে প্রথমে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার পর নিজেও ঘরের ডাফের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এমন খবর প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা জানায়। পরে প্রতিবেশীরা মা রেশমা খাতুন ও মেয়ে লামিয়ার মরদেহ দরজা ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে পরদিন শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে মা ও মেয়ের মরদেহ নিজ গ্রামে নেওয়া হলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। কান্নায় সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। পরে বিকেলে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়। তবে হত্যা ও নিহত হওয়ার ঘটনায় দৌলতপুর থানায় মামলা না হওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষুব্ধ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি এ ঘটনায় মামলা হোক এবং তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
মা ও মেয়ের মৃত্যুর ঘটনার মামলার বিষযে দৌলতপুর থানার ওসি মো. সোলয়মান শেখ জানান, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের কথা রয়েছে। তারা দু’একদিন সময় নিয়েছিল কিন্তু দু’দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত তারা মামলা দেয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা না দিয়ে আমাদের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

