আনিস সুমন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি
স্কুল কক্ষের ফ্যান অন করার কারনে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমুল হকের এক থাপ্পড়ে ওই স্কুলের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী দুরমুজখালী এলাকার মিজানুর রহমানের কন্যা এখন হাসপাতালে যন্ত্রনার চিৎকারে ছটফট করছে।
প্রচন্ড ভাবে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় তার শারিরিক অসুস্থতার কোন পরিবর্তন আসছে না এমনটি জানালো শিক্ষার্থীর পরিবার।সরেজমিনে শ্যামনগর হাসপাতালে যেয়ে দেখা যায়, মায়ের কোলে যন্ত্রনার কাতরে ছটফট করছে ওই স্কুল শিক্ষার্থী। অসুস্থ স্কুল শিক্ষার্থীর স্বজনরা জানান,গত (৫.১১.২৫)তারিখে সকালের দিকে ঘটনার দিন আহত শিক্ষার্থীকে তাৎক্ষণিক ভাবে হাসপাতালে ভর্তি না করে অভিযুক্ত নাজমুল হক স্কুলের একটি কক্ষে রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়,এক পর্য্যায় বিকালে দিকে একটি ভ্যান যোগে শিক্ষার্থী কে তার বাড়ীতে পাঠানো হয়, যন্ত্রনায় ছটফটকৃত আহত শিক্ষার্থী কে রাতে পার্শ্ববর্তী ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি হতে থাকে,কোন মতেই যন্ত্রনা কমছে না, তাকে রেফার করা হয়, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এদিকে দুই দিন চিকিৎসা নেয়ার পরে একটু সুস্থ হলে বাড়ীতে নিয়ে আসে শিক্ষার্থীর দরিদ্র পিতা মিজানুর রহমান। তবে দিন শেষে রাতে আবারো শুরু হয় যন্ত্রনা।মাথার প্রচন্ড যন্ত্রনায় ছটপট করতে থাকলে তাকে রাতেই আবার শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অসুস্থ ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীর পিতা মিজানুর রহমান বলেন, শ্যামনগর হাসপাতালে একদিন রাখার পর আমার মেয়ের অবস্থা খারাপ হতে থাকে,তাকে আবার সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছি,তবে এখানকার ডাক্তাররা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে নিয়ে যেতে বলছে,কান্না জড়িত স্কুল শিক্ষার্থীটির বাবা মিজানুর রহমান বলেন, জানিনা আমার মেয়েটির কি হবে,তিনি আরো বলেন,স্কুল শিক্ষক নাজমুল স্যার এমন জোরে আমার মেয়েটিকে মারছে, সে ছিটকে স্কুলের গ্রীলের গায়ে পড়ে,প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার কারনে আজকে এই অবস্থা।
অসুস্থ স্কুল শিক্ষার্থীর মা বলেন,আমার মেয়েকে তাৎক্ষণিক ভাবে সাথে সাথে হাসপাতালে নিয়ে আসলে এ অবস্থা হতো না, আমি আমার মেয়ের মত কোন শিক্ষার্থীর যেন এ অবস্থা শিকার না হতে হয়, সেই দাবী করছি, আপনারা আমার মেয়ের জন্য একটু দোয়া করবেন।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমুল হক বলেন,অতিরিক্ত ফ্যান অন করার কারনে আমি ওকে একটি থাপ্পড় মারি,আমার থাপ্পড়ে সে ছিটকে স্কুলের জানালার গ্রীলের সাথে আঘাত প্রাপ্ত হয়।আমরা সবাই মিলে তাকে সুস্থ করার জন্য চেষ্টা করছি।
স্থানীয় বিএনপিনেতা আবু ইউছুপ বলেন, শিক্ষকের অসাবনতার কারনে স্কুল পড়ুয়া মেয়েটির আজ এ অবস্থা, আমরা অভিযুক্তদের শাস্তির দাবী করছি,যাতে ভবিষ্যতে কোন শিক্ষার্থীকে এমন অবস্থার শিকার না হতে হয়।

