দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে হঠাৎ করে ডেংগু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। চলতি মাসে অর্থাৎ আজ রোববার সকাল পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা হাসপাতালে ২২ জন ডেংগু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে গত ৩দিনে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৮ জন রোগী। এরফলে দৌলতপুরের জনমনে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, নভেম্বরের শুরু থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২২ জন রোগীকে ডেংগু জ্বরের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের ডেংগু ওয়ার্ডে ১২ জন রোগী ভর্তি ছিল এবং তাদের চিকিৎসা চলছে। করোনার সময়ে ব্যবহৃত আইসোলেশন ওয়ার্ডকেই বর্তমানে ডেংগু ওয়ার্ডে রুপান্তর করেছে কর্তৃপক্ষ। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়লেও চিকিৎসাসেবা নির্বিঘœ রাখার চেষ্টা চলছে।
উপজেলার খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নের নজিবপুর এলাকার বাপ্পি হোসেন (২৬) যিনি গত শনিবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড জ্বরে ভুগছিলাম। প্রথমে এলাকার দোকান থেকে ওষুধ কিনে খেয়েও কাজ হয়নি। পরে হাসপাতালে এসে রক্ত পরীক্ষা করলে ডেংগু ধরা পড়ে। এখন ভর্তি আছি এবং চিকিৎসা নিচ্ছি।
দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের দাড়েরপাড়া গ্রামের নাহারুল ইসলাম বলেন, আমি গত পরশু (শুক্রবার) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আগের তুলনায় এখন কিছুটা ভালো লাগছে। স্যালাইন চলছে।
এবিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, চলতি মাসে ডেংগু রোগী বাড়ছে, বিশেষ করে গত তিন দিনে রোগীর সংখ্যা বেশি এসেছে। বর্তমানে হাসপাতালে ১২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। নির্দিষ্ট কোনো এলাকা নয়, পুরো উপজেলাজুড়েই এবার ডেংগু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে। জনসাধারণকে সচেতন করতে স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

