Nabadhara
ঢাকাসোমবার , ১০ নভেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দৌলতপুরে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাৎ: ইউপি সদস্যের শাস্তির দাবি

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
নভেম্বর ১০, ২০২৫ ৯:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আমজাদ হোসেন নামে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদাহ গ্রামের ভূক্তভোগীরা মাইকিং করে দরিদ্র ও অসহায়দের টাকা মেরে খাওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। রবিবার সকালে ৪০ থেকে ৫০ জন সুবিধা বঞ্চিত অসহায় ব্যক্তিরা এ প্রতিবাদ কর্মসূচীতে অংশ নেয়।

শুধুমাত্র বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতার টাকা আত্মসাৎ করে ক্ষান্ত হয়নি ওই ইউপি সদস্য, মাতৃত্বকালীন ও সরকারি ঘর দেয়ার নামেও অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

ভূক্তভোগী ও অভিযোগকারীরা জানান, আদাবিড়য়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রামের ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মেম্বার দীর্ঘ দুই বছর ধরে তাদের ভাতার টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। খোঁজ নিয়ে তারা দেখেছেন, ওই ভাতার টাকা ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেনের শ্বশুরের মোবাইল নম্বরে বিকাশ নম্বরে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়াও মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড তৈরি ও সরকারি বাড়ি দেয়ার নামেও আমজাদ হোসেন অর্থ লেনদেন করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে। অভিযোগকারীরা বলেন, আমজাদ মেম্বার মাতৃত্বকালীন কার্ড দেয়ার নামে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। সরকারি বাড়ি দেয়ার নামেও একইভাবে টাকা নিয়েছেন, কিন্তু কোনো কাজ করেননি তিনি। বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার টাকাও বিগত দুই বছর ধরে আমজাদ মেম্বারের শ্বশুরের মোবাইল নম্বরেই যাচ্ছে। তারা আরো জানান, দুই বছরের মধ্যে মাত্র একবার ভাতা বাবদ টাকা পেয়েছেন। এরপর আর কোনো টাকা পাননি তারা। সমাজসেবা অফিসে একাধিকবার গিয়েও কোনো ফল পাননি, বরং আমাদের অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছেন বলে তারা অভিযোগ করেন।

৬৪ বছর বয়সী সুলতান নামের এক বয়োবৃদ্ধ অসহায় ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, আমি দেড় বছরের মধ্যে মাত্র একবার ভাতা বাবদ টাকা পেয়েছি। এরপর আর কোনো টাকা পাইনি। বারবার সমাজসেবা অফিসে গিয়েও কোনো ফল হয়নি, বরং আমাকে অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছে। পরে আমি ইউএনও স্যারের কাছে গেলে তিনি যাচাই করে দেখেন, আমার নামে থাকা ভাতার টাকা অন্য একটি নম্বরে যাচ্ছে। এরপর আমি সেই নম্বরে ফোন দিলে জানতে পারি, ফোনটি আমজাদ মেম্বারের শ্বশুরের নামে নিবন্ধিত এবং তিনিই কথা বলছেন।

লিটন হোসেন নামে অপর এক ব্যক্তি জানান, আমার স্ত্রী ঝুমকা খাতুনের গর্ভকালীন ভাতার কার্ড করে দেয়ার নাম করে আমজাদ মেম্বার তার কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা নিয়েছিল। কিন্তু দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তিনি না কার্ডটি করে দিয়েছেন, না টাকা ফেরত দিয়েছেন। একই অভিযোগ প্রতিবাদে অংশ নেওয়া ভাতা ও সরকারি ঘর না পাওয়া প্রায় অর্ধশত নারী-পুরুষের।
তবে এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মেম্বার বলেন, প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এই ধরনের ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে। যেসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, সবই মিথ্যা ও বানানো।

এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ভাতা ভোগীদের মোবাইল নম্বর সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক সময় নানা সমস্যা দেখা দেয়। অনেকে নিজেদের মোবাইল নম্বর না দিয়ে মেয়ের বা ছেলের নম্বর ব্যবহার করেন। যারফলে টাকা এ্যাকাউন্টে গেলেও তা অনেক সময় গোপন রাখা হয়। এছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে কমিটি রয়েছে।

সুবিধাভোগীরা তাদের মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য তথ্য সেই কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে আমাদের দপ্তরে জমা দেয়। এরপর আমরা প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করে তা ঊর্ধ্বতন দপ্তরে প্রেরণ করি। তবে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে, আমরা তা তদন্ত করে দেখবো এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো যাতে প্রকৃত ভাতাভোগী তার প্রাপ্ত টাকা বুঝে পাই। একই সঙ্গে দোষী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ভাতা বঞ্চিতদের অভিযোগের বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী জানান, এ ধরনের কোনো অভিযোগ তিনি এখনো পাননি। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি ভাতা ভোগীরা যাতে তাদের প্রাপ্য টাকা বুঝে পান, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভূক্তভোগী ও সুবিধা বঞ্চিতদের দাবি, অনিয়ম-দুর্নীতি ও সুবিধা বঞ্চিতের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত ভাতাভোগীদের প্রাপ্য টাকা ফেরতের বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।