ফরিদপুর প্রতিনিধি
মহান বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাবের আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ পেশাজীবি সংগঠনগুলোকে লেজুড়বৃত্তিক করে রেখেছিলো। বিপ্লব ও সংহতি দিবস সেই আধিপত্যবাদীদের সেই লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি থেকে আমাদের মুক্তির মন্ত্রণা শেখায়।
৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফরিদপুরে ড্যাবের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তাগণ একথা বলেন।
রোববার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের ঝিলটুলীতে অবস্থিত বিএমএ ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ড্যাবের জেলা আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ডা. তানসিভ জুবায়ের নাদিমের সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএমএ জেলা সাধারণ সম্পাদক ডা. আলী আকবর বিশ্বাস, ড্যাবের জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. আল আমিন সরোয়ার, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. খান মো: আরিফ, ফমেক ড্যাবের সদস্য সচিব ডা. মিজানুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ, ডা. নিশাত চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি সন্ধিক্ষণে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পরিত্রাতার ভুমিকায় অবতীর্ণ হন। তিনি কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেন। আবার পচাত্তরে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের সময় নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে নেতৃত্ব শূন্যতার কবল থেকে রক্ষা করেন। তিনি বাকশালের মতো একদলীয় শাসন বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন বলেই এদেশের মানুষ তাদের মত প্রকাশের ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরে পায়।
বক্তাগণ বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে ” বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ” সংযোজন করে আমাদের জাতীয় পরিচয় নির্ণয় করেন। আর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করে এদেশে উদার রাজনৈতিক চর্চার ধারাকে প্রতিষ্ঠা করে যান। তাঁর এই আদর্শকে অনুসরণ করেই বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে। নইলে আধিপত্যবাদীদের কবলে পড়ে বারবার আমরা পিছিয়ে পড়বো। তারা বলেন, আমরা জাতীয়তাবাদী আদর্শের অনুসারী হবো, কিন্তু আমাদের পেশাজীবি সংগঠন লেজুড়বৃত্তিক হবেনা।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ড্যাব ও বিএমএ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও ফরিদপুরের সাধারণ চিকিৎসকগণ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

