Nabadhara
ঢাকামঙ্গলবার , ১১ নভেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খুলনায় জেলা পরিষদ ভবন থেকে উদ্ধার গায়েব হওয়া নথি: প্রশাসনিক কর্মকর্তার কক্ষে মিলল দুদকের চাওয়া ফাইল

খুলনা প্রতিনিধি
নভেম্বর ১১, ২০২৫ ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

খুলনা প্রতিনিধি

খুলনা জেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নথি হারানোর এক বছরেরও বেশি সময় পর সেগুলো উদ্ধার হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস. এম. মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে। সোমবার দুপুরে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তারের নেতৃত্বে পরিচালিত তল্লাশিতে ওই ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়।

 

উদ্ধার হওয়া এসব নথি নিয়ে জেলা প্রশাসনিক ভবনে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। কারণ, এই নথিগুলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গত ২১ এপ্রিল জেলা পরিষদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ে পাঠিয়েছিল। অথচ তখন জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে জানায়—নথিগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

 

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জেলা পরিষদ ভবন থেকে বিভিন্ন ফাইল, রেজিস্টার ও ব্যাংক হিসাব-সংক্রান্ত নথি নিখোঁজ হয়ে যায়। ওই ঘটনার পর ৯ আগস্ট প্রধান সহকারী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খুলনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন এবং ১৭ আগস্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

 

এজাহারে বলা হয়, জুলাই আন্দোলনের সময় একদল সশস্ত্র ব্যক্তি জেলা পরিষদের মূল ফটক ভেঙে হামলা চালায়, অফিসের ভেতরে অগ্নিসংযোগ করে এবং প্রায় ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার মালামাল ও সরকারি নথি লুট করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ২৮৪টি নথি উদ্ধার করা হলেও গুরুত্বপূর্ণ ছয়টির হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না।

 

অবশেষে সোমবার দুপুরে জেলা পরিষদের একটি টিম প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমানের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে আলমারি থেকে সেই নথিগুলো উদ্ধার করে। তবে ঘটনাটি ঘিরে এখন নতুন প্রশ্ন উঠেছে—যে নথিগুলো নিয়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রশাসন ও দুদক তৎপর ছিল, সেগুলো কর্মকর্তার কক্ষে এতদিন গোপন ছিল কীভাবে?

 

ঘটনার বিষয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, “কিছু ফাইল কর্মচারীরা পেয়ে আমার আলমারিতে রেখেছিল। ওটা তেমন কিছু না।” দুদকের চাওয়া নথি কি সেগুলোই? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমার মনে নেই।”

অন্যদিকে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার বলেন, “যে নথিগুলো উদ্ধার হয়েছে, সেগুলোই দুদক আমাদের কাছে চেয়েছিল। আগস্টের পর উদ্ধার করা ফাইলের মধ্যে এগুলো ছিল না। আমরা বিষয়টি লিখিতভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও দুদককে জানিয়েছি।”

তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, উদ্ধার হওয়া নথিগুলো এখন বিশেষ নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে এবং দ্রুত সেগুলো যাচাইয়ের জন্য দুদকে পাঠানো হবে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমানকে এর আগে দুইবার বদলির আদেশ দেওয়া হলেও তিনি রহস্যজনকভাবে খুলনায় থেকে যান। নেত্রকোনায় বদলি হওয়ার পর দুদিনের মাথায় ফের খুলনায় ফেরেন, আর বগুড়ায় বদলির আদেশ হলেও সেখানে আর যাননি।

জেলা পরিষদের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এই ঘটনায় পরিষদের ভেতর প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এতদিন নথি খুঁজে না পাওয়া গেলেও এখন যখন তা একজন কর্মকর্তার কক্ষ থেকেই মিলল, বিষয়টি নিশ্চয়ই কাকতালীয় নয়।”

দুদক সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া নথিগুলোর ওপর বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে। দায়ীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুরো ঘটনা এখন খুলনা জেলা পরিষদসহ স্থানীয় প্রশাসনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকের প্রশ্ন, যেসব নথি হারিয়ে যাওয়ার পর সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো এতদিন কোথায় ছিল—এবং কেন তা গোপন রাখা হলো?

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।