কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন সরগরম। হাট-বাজার থেকে চায়ের স্টল— সর্বত্রই চলছে এক প্রশ্নের জোয়ার: আগামী এমপি কে?
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও যুক্তিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু এখন বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলাল। তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মতে, ১১ নভেম্বর কেন্দুয়ায় তাঁর পক্ষে জনস্রোত প্রমাণ করেছে— তিনি আগামী নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন।
বিএনপির প্রাথমিক ঘোষিত মনোনয়নে তাঁর নাম না থাকলেও তৃণমূলের বিশ্বাস, চূড়ান্ত মনোনয়ন দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলালই পাবেন। এমনকি কেউ কেউ বলছেন, দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনিই হতে পারেন বিজয়ী।
রাজনৈতিক মহলে তিনি পরিচিত সততা, সাহস ও সংগঠনিক দক্ষতার জন্য। ইউপি চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তিনি অর্জন করেছেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও আস্থা। স্থানীয়দের মতে, দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলাল হচ্ছেন “ভোটের মাঠের গুরু”— যিনি ভিলেজ পলিটিক্স থেকে শুরু করে সিটি পলিটিক্সেও সমান দক্ষ।
কেন্দুয়ার এক প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন,“যারা মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেন, তারাই প্রকৃত নেতা। দুলাল সেই বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি— তিনি এখন কেন্দুয়া-আটপাড়ার জনমানুষের আস্থার প্রতীক।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন নির্বাচনে নেত্রকোনা-৩ আসনে দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলাল হতে পারেন “পরিবর্তনের মুখ”— যিনি রাজনীতিকে দেখেন ক্ষমতার নয়, সেবার মঞ্চ হিসেবে।
নিজের রাজনৈতিক দর্শন সম্পর্কে জানতে চাইলে দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলাল বলেন, “আমি রাজনীতি করি মানুষের জন্য। এলাকার উন্নয়ন ও জনসেবা আমার একমাত্র লক্ষ্য।”
স্থানীয় তরুণ সমাজ তাঁকে দেখছে নেতৃত্বের নতুন প্রতীক হিসেবে। তাদের বিশ্বাস, দুলালের নেতৃত্বে স্বচ্ছ, মানবিক ও উন্নয়নমুখী রাজনীতি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
সবশেষে বলা যায়, দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলাল চূড়ান্ত মনোনয়ন না পেলেও যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, তবে এই আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই অনিবার্য— এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

