Nabadhara
ঢাকাবুধবার , ১২ নভেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

“দাদনের ফাঁদে কাজিপুরের অর্ধশতাধিক পরিবার – শাস্তির দাবিতে উত্তাল এলাকা”

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
নভেম্বর ১২, ২০২৫ ৪:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে আব্দুর রশিদ নামে এক দাদন ব্যবসায়ীর অবৈধ সুদ কারবার বন্ধ ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। বুধবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার হরিনাথপুর বাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভুক্তভোগী পরিবার, এলাকাবাসী ও স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ হরিনাথপুর বাজারের ব্যবসায়ী ও মধ্যপাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, আব্দুর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে চড়া সুদে টাকা ধার দিয়ে গরিব ও অসহায় মানুষদের ফাঁদে ফেলছেন। তিনি জামানত হিসেবে ব্ল্যাঙ্ক চেক, জমির দলিল ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে দেনা শোধ করলেও তা ফেরত দেন না। বরং পরবর্তীতে মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করে আইনি নোটিশ পাঠান।

হরিনাথপুর গ্রামের ফজলুল হক বলেন, “২০২৩ সালে আমি সোয়া দুই লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। দুই বছর মাসিক ১০ টাকা শতাংশ হারে সুদ দিয়েছি। পরে মূল টাকা ফেরত দিতে না পারলে রশিদ আমার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা দাবী করে। কিছু টাকা পরিশোধের পরও এখন তিনি আমার কাছে ২৫ লাখ টাকা পাওনার দাবি করছেন।”

আরেক ভুক্তভোগী মোহাম্মদ কাফি বলেন, “চার বছর আগে দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। মাসে ১৫ হাজার টাকা করে সুদ দিয়েছি—পাঁচ লাখের বেশি শুধু সুদই পরিশোধ করেছি। তারপরও তিনি এখন আমার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবী করছেন।”

হরিনাথপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, “আব্দুর রশিদ একজন সুদখোর দাদন ব্যবসায়ী। তিনি অসহায় মানুষদের ব্ল্যাঙ্ক চেক ও খালি স্ট্যাম্পে সই নিয়ে ভয়ভীতি দেখান এবং মামলা দিয়ে হয়রানি করেন।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য রিপন মিয়া জানান, “রশিদের এই সুদের কারবার নিয়ে অনেকবার সালিশ হয়েছে। তিনি গোপনে চড়া সুদে টাকা ধার দেন এবং প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার এখন তার হয়রানিতে অতিষ্ঠ।”

অভিযুক্ত আব্দুর রশিদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ছেলে সৌরভ বলেন, “আমার বাবা মাসিক শতকরা দশ টাকা সুদে ঋণ দেন, কিন্তু যারা মানববন্ধন করেছে তারা টাকা পরিশোধ করেনি।”

কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।”

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।