স্টাফ রিপোর্টার
চিতলমারীতে ঋণের বকেয়া নারীর আংটি নিয়ে গিয়েছিলেন এনজিও কর্মকর্তা শিরোনামে। গত ১০ নভেম্বর অনলাইন নিউজ পেপার নবধারা সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর সংস্থার কর্তৃপক্ষ নড়ে-চড়ে বসেছে। গৃহবধু শ্রাবণী হীরার বদনা ও আংটি ফেরত দিয়েছে ডাম এনজিও’র কর্মকর্তারা। বদনা ও আংটি ফিরে পেয়ে ওই গৃহবধু খুশির কান্নায় দুই চোখ থেকে ছলছল করে অশ্রু বের হয়েছে।
এই ঘটনায় ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (ডিএফইডি) চিতলমারী শাখার ম্যানেজার বাসুদেব দেব নাথ ও মাঠ কর্মী নেওয়াজ শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন এনজিও কর্তৃপক্ষ। ডিএফইডি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন এবং তদন্ত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এব্যাপারে গৃহবধু শ্রাবণী হীরা বলেন, “বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ডাম এনজিও’র কর্মকর্তারা আমার বাড়িতে আসেন। তারা আমার শিশু কন্যাসহ পরিবারের খোঁজ খবর নেন। সব কিছু শুনে তাঁরা বিকেলে আমার শখের আংটি, নাকফুল ও দুটি বদনা ফেরত দিয়েছেন। আমি সাংবাদিকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের নরসিংদী জোনাল ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “কোনো জোর প্রয়োগ ছাড়াই গৃহবধু শ্রাবণী হীরা অভাবের তাড়নায় স্বেচ্ছায় ঋণের টাকার পরিবর্তে বদনা, নাকফুল ও হাতের আংটি দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে ৯ হাজার ৫শ টাকা জমা করে উক্ত মালামাল ফেরত নিয়েছেন।”
উল্লেখ্য, ডাম ফাউন্ডেশন চিতলমারী শাখা থেকে ওই গৃহবধু ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণের কয়েকটি কিস্তি খেলাপী হলে গত ২৯ অক্টোবর সকাল ১০টায় ওই ফাউন্ডেশনের কর্মীরা শ্রাবণীর বাড়িতে এসে ২টি ফাকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে ঋণের কিস্তির পরিবর্তে হাতের আংটি, নাকফুল ও পিতলের ২টি বদনা নিয়ে যান। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.