বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি
দারিদ্র্যের প্রতিদিনের লড়াই, সমাজের নানা তির্যক কথা আর চারপাশের নিরুৎসাহ সব পেরিয়ে এক সাধারন কৃষক পরিবারের ছেলে আজ বিসিএস ক্যাডার। শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী রুদ্রপুর গ্রামের শামীম রেজা ৪৯তম বিসিএস পরীক্ষায় শিক্ষা ক্যাডার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন এলাকায়।
রিকশাচালকের মেয়ে বিসিএস ক্যাডার, দিনমজুরের ছেলে প্রশাসনে এমন গল্প আমরা প্রায়ই শুনি; কিন্তু যে সংগ্রাম, যে ঘাম-রক্তের পথ পেরিয়ে তারা উঠে আসে, তা বোঝে না অনেকেই। শামীম রেজার সাফল্যও যেন সেই অনুলিখিত গল্পগুলোরই আরেক অধ্যায়।
রুদ্রপুর গ্রামের কৃষক শাহাবুদ্দীন সরদার ও গৃহিণী শাহানাজ খাতুন দম্পতির বড় ছেলে শামীম। তিন ভাইবোনের বড় হওয়া এই তরুণের সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে তার বাবা-মায়ের হাজারো না বলা ত্যাগ। দারিদ্র্য ছিলো নিত্যসঙ্গী। তবুও কখনো হতাশ হননি শাহানাজ–শাহাবুদ্দীন দম্পতি। প্রতিবেশীরা বলেছিল ছেলেকে কাজে দাও, সংসার চলবে। কিন্তু মা শাহানাজ নীরব থেকে প্রতিদিন সঞ্চয় করেছেন শক্তি; নিজের দীর্ঘশ্বাস চেপে ধরে ছেলের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
শামীম গোগা ইউনাইটেড আদর্শ কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ থেকে বিবিএ ও এমবিএ। তার হাত ধরেই প্রথমবারের মতো গোগা কলেজ পেলো বিসিএস ক্যাডারের গৌরব।
তার বাড়িতে গেলে এখন শুধুই উচ্ছ্বাসের স্রোত। বাবা পায়চারি করেন, মা শাহানাজ খাতুন চোখ ভরা আনন্দে গল্প করেন কিভাবে প্রতিকূলতার দেয়াল ভেঙে এগিয়েছেন তারা। ছেলেকে লক্ষ্য ঠিক করে দিতে পেরেছি এই সুখের দাম নেই, বললেন তিনি।
নিজ সাফল্যে বিনয়ী শামীম বলেন, বাবা-মা, পরিবার আর শিক্ষকদের অবদানের ঋণ শোধ করার মতো না। চাকরিতে যোগ দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করাই হবে আমার প্রথম দায়িত্ব।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.