বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা রবিউল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৮–৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিহত রবিউলের বাবা মিজানুর রহমান ওরফে দুলাল হাওলাদার বাদী হয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আউয়াল হাওলাদারকে প্রধান (১ নম্বর) আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
বাবুগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) পলাশ চন্দ্র সরকার মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত জানানো যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। কোনো নিরীহ ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত আক্রোশে হয়রানি করা হবে না।”
তবে স্থানীয়দের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে কয়েকজন নিরীহ মানুষের নাম মামলায় ঢোকানোর চেষ্টা চলছে, যা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডকে কোনোভাবেই ভিন্ন খাতে নেওয়া যাবে না। যারা প্রকৃত অপরাধী শুধু তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বানিয়ে কাউকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হলে তা সহ্য করা হবে না।”
গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় উপলক্ষে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করছিলেন। এ সময় ইউনিয়ন ছাত্রদল সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আউয়াল হাওলাদারের মধ্যে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আউয়াল হাওলাদার ধারালো অস্ত্র দিয়ে রবিউলকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রবিউল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।

