মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের মনিরামপুরে একই জমিতে একাধিক ফসলের সমন্বিত চাষ করে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও সময়োপযোগী পরিকল্পনার মাধ্যমে উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে এই পদ্ধতি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা মনিরামপুরের পশ্চিমাঞ্চলের দশ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামে বহুমুখী সবজি চাষ হয়ে থাকে। এখানকার কৃষকরা অধিক হারে সবজি আবাদে সমন্বিত চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এর মাধ্যমে তারা শুধু বাড়তি লাভ পাচ্ছেন না, বরং জমির উৎপাদনশীলতাও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলছেন।
সরেজমিনে মশ্বিমনগর ইউনিয়নের পারখাজুরা গ্রামে দেখা যায়—কৃষক ইমদাদুল হক মাত্র এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজের সঙ্গে একযোগে পটল, রসুন, শসা, বেগুন, মরিচ, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি ও রুট কপি চাষ করেছেন। বৈচিত্র্যময় ফসলের সমাহারে এক জমি যেন সবজি বাগানের ন্যায়, যা দেখলে যে কারও মন ভরে যাবে।
কৃষক ইমদাদুল হক জানান, “পেঁয়াজের বাজারদর ভালো থাকায় আগাম উত্তোলন শুরু করেছি। ফলন চমৎকার হয়েছে, আর বাজারে দামও বেশ ভালো—ফলে আগের চেয়ে অনেক বেশি লাভের আশা করছি।”
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, “কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছি। তদারকি ও প্রণোদনার কারণে কৃষকরা সমন্বিত চাষে ভালো ফল পাচ্ছেন।”
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বীথি বলেন, “মনিরামপুর মূলত কৃষিভিত্তিক উপজেলা। কৃষকদের উদ্যোগ, আমাদের পরামর্শ এবং সমন্বিত ফসল চাষ পদ্ধতির কারণে এখানে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।”
এদিকে মনিরামপুরে সমন্বিত ফসল চাষ কৃষকদের আয় বাড়ানোসহ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.