খুলনা প্রতিনিধি
মাত্র আড়াই মাস বাকি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। খুলনার আটটি আসনে ভোটের চিত্র এখন পরিষ্কার: জনসংযোগ ও প্রচারণার দিক থেকে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীরা এগিয়ে। অন্য দল যেমন ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, সিপিবি, গণসংহতি আন্দোলন ও এনসিপি থাকলেও ভোটের মাঠে তাদের প্রভাব তেমন দেখা যাচ্ছে না।
খুলনা-২: নজরুল ইসলাম মঞ্জুর প্রাধান্য
বিএনপি মনোনীত নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু এই আসনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। অতীত নির্বাচনে ভোট বর্জন ও একদলীয় নির্বাচনের বাইরে আসনটি মূলত বিএনপির ঘাঁটি। জামায়াত প্রার্থী শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালও প্রচারণায় ব্যস্ত থাকলেও ভোটের মূল নিয়ন্ত্রণ দুই প্রার্থীর মধ্যে।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, “দীর্ঘদিন মানুষ ভোটের অপেক্ষায়। তাদের আস্থা পেলে জয় নিশ্চিত।”
জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেন, “জনপ্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যেই প্রচারণার ফলাফলে দেখা যাবে।”
খুলনা-৩: শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকায় বিএনপির জোরদার অবস্থান
খুলনা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল প্রচারণায় এগিয়ে। জামায়াতের অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানও প্রচারণা চালাচ্ছেন, তবে স্থানীয়দের মতে বিএনপি নেতার প্রভাব বেশি।
রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, “লোকেরা দীর্ঘ বঞ্চনার মধ্যে আছেন। তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব আমার।”
জামায়াত অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, “মানুষ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, আশা করি ভোটেও তা প্রতিফলিত হবে।”
খুলনা-৪: বারী হেলালের শক্ত অবস্থান
রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া ইউনিয়নের খুলনা-৪ আসনে বিএনপির আজিজুল বারী হেলাল নিয়মিত গণসংযোগ চালাচ্ছেন। জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরা সক্রিয় হলেও জনসংযোগে এগিয়ে রয়েছেন বারী হেলাল।
আজিজুল বারী হেলাল বলেন, “মানুষ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের আশা রাখে। বিএনপি তাদের সেই প্রতিশ্রুতি দিতে পারে।”
খুলনা-৫ ও খুলনা-৬: জামায়াতের সুবিধাজনক অবস্থান
ডুমুরিয়া ও ফুলতলা নিয়ে খুলনা-৫ আসনে জামায়াতের মিয়া গোলাম পরওয়ার দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী তৎপরতা চালাচ্ছেন। বিএনপির আলী আসগর লবির প্রচারণা শুরু হলেও জামায়াতের অবস্থান এখনও শক্ত।
খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হাসান বাপ্পীর ‘বহিরাগত’ পরিচয় ভোটে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে। জামায়াতের আবুল কালাম আজাদ নির্বাচনী মাঠে সুবিধাজনক অবস্থানে।
খুলনা-১: বিএনপি এখনও চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেনি
দাকোপ-বটিয়াঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-১ আসনে বিএনপি এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি। জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন সক্রিয় হলেও ভোটের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলত প্রধান দুই দলের মধ্যে হবে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ভোটাররা এবার দুই দলের মধ্যে নির্বাচন করবেন। অন্য দলের প্রচারণা এই আসনে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি।

