রাসেল আহমেদ,খুলনা প্রতিনিধি
২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে খুলনায় সেনা ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রশাসনের এক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, নতুন এই ক্যাম্প মূলত চরমপন্থী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারে কাজ করবে।
সূত্রটি আরও জানায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে খুলনা ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কিছু জেলায় চরমপন্থী কার্যক্রম পুনরুত্থিত হয়েছে। এ সময়ে খুন-খারাবির ঘটনা বেড়েছে, বিশেষ করে মাদক নিয়ন্ত্রণে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। সন্ধ্যার পর সাধারণ মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
নতুন সেনা ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে কিশোর গ্যাং ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে তাদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে। এছাড়া মাদক সিন্ডিকেটের পাশাপাশি নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি ও জনযুদ্ধের সক্রিয় সদস্যদের গ্রেপ্তারে কাজ করবে সেনা সদস্যরা। সূত্রটি জানায়, এসব সন্ত্রাসী গ্রুপ নানা নামে পুনরায় সংগঠন তৈরি করে অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।
প্রাথমিকভাবে ক্যাম্পে শতাধিক সেনা সদস্য মোতায়েন করা হবে। যাতায়াত সুবিধার জন্য মহাসড়ক সংলগ্ন জায়গা বেছে নেওয়া হচ্ছে। সম্ভাব্য অবস্থান হিসেবে রূপসা টোল প্লাজার আশপাশের জায়গা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
সরকার আশা করছে, সেনা ক্যাম্পের মাধ্যমে খুলনার বর্তমান আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে এবং আগামী নির্বাচনে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত।

