স্টাফ রিপোর্টার নড়াইল

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পুরুলিয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আনিচুর রহমান এবং পুরুলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক চাঁচুড়ী-পুরুলিয়া বাজার বণিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ খুরশিদ আলমের বাড়ির পাশে অস্ত্র ও ককটেল রেখে ষড়যন্ত্রমূলক ফাঁসানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১ডিসেম্বর ) দুপুরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড মোড়ে এ সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,২ নং পুরুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আনিচুর রহমান,পুরুলিয়া ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক,কালিয়া উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক পুরুলিয়া নন্দনকানন ক্লাবের সভাপতি খুরশিদ আলম,মোঃ ফিরোজ সরদার,মিজুন সরকার,মোঃ বখতিয়ার সরদার,ওমর শেখ শওকাত মিনা,মোঃ ইমরান মিনা, মোঃ মজিবর মোল্যা সহ প্রমুখ।

ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য আনিচুর রহমান বলেন, হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি কোবাদ হোসেন, কামরুল ইসলামসহ তাদের লোকজন আমাকে ফাঁসাতে ও হেয় প্রতিপন্ন করতে আমাদের বসত ঘরের পশ্চিম পাশে শুকনো পাতার মধ্যে পিস্তল এবং আটটি ককটেল রেখে সোমবার (২৬ নভেম্বর) গভীর রাতে
আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে অবগত করে।

আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী এসে আমাদের বাড়ির পশ্চিম পাশে তল্লাশি করে শুকনো পাতার মধ্য থেকে পিস্তল ও ককটেল উদ্ধার করে।

প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলক আমাকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করছে,বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা বুঝতে পারেন। এর ছয় মাস আগেও আমার বাড়ির একই স্থানে প্রতিপক্ষরা অস্ত্র ও গুলি রাখার কারণে আমি চার মাস ১১দিন কারাগারে থেকে জামিনে মুক্তি পাই। ভবিষ্যতে আমাকে হত্যাসহ নানান ষড়যন্ত্র করতে পারে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমি নিরপক্ষ তদন্ত সহ দোষীদের বিচার চাই।

ভুক্তভোগি খুরশিদ আলম বলেন,প্রতিপক্ষের কামরুল সরদার,কোবাদ মোল্যা, কালু গাজী ও ইমরান সরদারের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় আমার বাড়ির পাশে ককলেট রেখে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তারা। আমরা বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি।

প্রতিপক্ষের কোবাদ হোসেন,কামরুল ইসলামসহ অন্যরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাদের দাবি, তারা এ ধরণের কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত নেই।

কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত সোমবার গভীর রাতে পুরুলিয়া গ্রামের দু’টি স্থান থেকে দেশি তৈরি একটি পিস্তল এবং ১১টি ককটেল পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।