Nabadhara
ঢাকাসোমবার , ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জামালগঞ্জ–সাচনা বাজারে ফেরি চালুর জোর দাবি, দুর্ভোগে লাখো মানুষ

একে মিলন, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ ৬:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

একে মিলন, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
​খেয়া নৌকার পরিবর্তে সুরমা নদীর জামালগঞ্জ-সাচনা বাজার পারাপারে ফেরি চালুর জন্য জোর দাবি উঠেছে স্থানীয় ছাত্র-জনতা, ব্যবসায়ী ও সুধীমহলের পক্ষ থেকে।

পাক-আমল থেকে শুরু করে অদ্যাবধি এই গুরুত্বপূর্ণ পারাপার পয়েন্টে খেয়া নৌকাই একমাত্র ভরসা হওয়ায় এই অঞ্চলের লাখো মানুষের নিত্যদিনের দুর্ভোগ এখন চরমে। দীর্ঘদিনের এই চরম ভোগান্তি নিরসনে দ্রুত ফেরি চালুর দাবি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।

​জামালগঞ্জ-সাচনা বাজার খেয়াঘাটটি কেবল স্থানীয়দের নয়, ধর্মপাশা-সহ বিভিন্ন এলাকার অগণিত মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু ছোট যানবাহন পারাপারের কোনো সুব্যবস্থা না থাকায় জনদুর্ভোগ তীব্র আকার ধারণ করেছে।

​বর্তমানে স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রী, সাধারণ জনতা ও ব্যবসায়ীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে ছোট নৌযানে নদী পারাপার হচ্ছেন। জরুরি চিকিৎসা বা পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ বহুগুণ বেড়ে যায়।

জামালগঞ্জ ইউএনও মুশফিকীন নূর বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় জনস্বার্থে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যেখানে ফেরি পারাপারের সুযোগ আছে, সেখানে যেন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।​

উপজেলা নির্বাহী অফিসার গুরুত্বের সাথে বলেন,ফেরি চালু হলে শুধুমাত্র যানবাহন নয়, সাধারণ জনগণও ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। এটি ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ সহজ করে এলাকার অর্থনৈতিক গতিকে বাড়িয়ে দেবে। ​তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, তিনি অবগত আছেন যে সাচনা-জামালগঞ্জ সুরমা নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ব্রীজ নির্মাণ একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

​জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এই বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন,
​”জামালগঞ্জ-সাচনা বাজার খেয়াঘাটে জনগণের দুর্ভোগ আমাদের নজরে এসেছে। নদী পারাপারের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রী ও রোগীদের যে চরম ভোগান্তি হয়, তা সত্যিই দুঃখজনক।

আমরা জানি, ছোট নৌকায় গাদাগাদি করে পারাপার হওয়াটা শুধু অসুবিধাজনক নয়, অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণও বটে। একটি ফেরি চালু হলে একদিকে যেমন যানজট কমবে, তেমনি জরুরি মুহূর্তে যানবাহনসহ দ্রুত পারাপারের ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।”

​স্থানীয়দের ভোগান্তি তুলে ধরে শফিকুল ইসলাম (স্থানীয় ব্যবসায়ী) বলেন, “আমরা যুগের পর যুগ ধরে এই খেয়া নৌকায় পার হচ্ছি। মালামাল আনা-নেওয়ার কী যে কষ্ট, তা বলে বোঝানো যাবে না। একটি ফেরি চালু হলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং সময়ও বাঁচবে। ফেরি ছাড়া আমাদের দুর্ভোগের কোনো সমাধান নেই।”

​অন্যদিকে, নাজমা বেগম (স্কুল শিক্ষার্থী) তার প্রতিদিনের কষ্টের কথা জানিয়ে বলেন, “প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে কলেজে যেতে হয়। সকালে নৌকায় এত ভিড় থাকে যে শ্বাস নেওয়াও মুশকিল। আমাদের মতো ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও দ্রুত পারাপারের জন্য ফেরি অতি জরুরি।”

​তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ (গণমাধ্যম কর্মী) উল্লেখ করেন, “ছোটখাটো চিকিৎসার জন্য বা জরুরি প্রয়োজনে যখন তখন যানবাহন নিয়ে নদী পার হওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। সরকারের কাছে আমাদের জোর দাবি, দ্রুত এখানে ফেরি চালু করা হোক।”

​স্থানীয়রা আশা করছেন, লাখো মানুষের এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দাবিটি দ্রুত সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জেলা প্রশাসক সহ সরকারের উচ্চ মহলে পৌঁছাবে এবং তাদের দীর্ঘদিনের চরম দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।