হুমায়ন কবির মিরাজ, বেনাপোল
জুলাই আন্দোলনের সম্মুখ সারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার প্রতিবাদ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা এবং ভারতের আধিপত্যবাদী আচরণের বিরুদ্ধে বেনাপোল থেকে আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট পর্যন্ত লং মার্চ কর্মসূচি পালন করেছে ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বেনাপোল বাজার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে গিয়ে শেষ হয়। এতে এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা অংশগ্রহণ করেন। মিছিল চলাকালে অংশগ্রহণকারীরা ভারতবিরোধী স্লোগান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।
চেকপোস্ট এলাকায় পৌঁছে এনসিপির নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সেখানে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এনসিপি নেতা আব্দুল মান্নান মাস্টার বলেন, “আজকের ছাত্র সমাজ বাংলাদেশের ওপর ভারতের দাদাগিরি কোনোভাবেই মেনে নেবে না। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কিংবা দাদাগিরি করতে এলে ছাত্রসমাজ রাজপথেই তার জবাব দেবে।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই আন্দোলনের সাহসী যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথচ দীর্ঘদিন পার হলেও এ হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত হয়নি। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চরম ব্যর্থতা ও রাজনৈতিক উদাসীনতার প্রমাণ।”
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, সীমান্ত এলাকায় ভারতের আগ্রাসী আচরণ, অনৈতিক প্রভাব বিস্তার এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব রাখার চেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। অবিলম্বে হাদী হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
লং মার্চ ও অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয় এবং সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রাখা হয়।

