আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম চরমে পৌঁছেছে। রাস্তার কাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি -বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নানান অজুহাতে চাঁদা দাবি, ঠিকাদারসহ কাজ বাস্তবায়কারীদের হুমকি দেওয়ার কারণে সাতক্ষীরার বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে।
ঠিকাদারদের দাবি জেলার প্রায় সকল উপজেলায় কাজ করতে গেলে নীরব চাঁদাবাজির শিকার হতে হচ্ছে।
মোটা অংকের চাঁদা দাবির কারণে সম্প্রতি পুলিশ পাহারায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বদ্দিপুর কলোনী এলাকায় সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে হয়েছে।
সড়ক উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার মেসার্স ছয়ানী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জানান,
এঘটনার পর গত বুধবার সকালে পুলিশ পাহারায় পুরাতন সাতক্ষীরা সওজ থেকে গোবিন্দপুর বাজার ভায়া জেয়ালা সড়কের কার্পেটিং কাজ করতে বাধ্য হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ঠিকাদারের অবেদনের প্রেক্ষিতে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশক্রমে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় পুলিশ পাহারায় কাজ শেষ করেন। কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় ছিলো এক কোটি ১২ লাখ আট হাজার ৬৯৩ টাকা।
এরপর শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে শহরের পাকাপোল মোড়েও পুলিশি সহায়তায় পিচ ঢালাইয়ের কাজ করেন ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ।
চাঁদাবাজদের নাম উল্লেখ না করে ঠিকাদার জাহিদ হাসান বলেন, “আমরা সরকারের উন্নয়ন কাজের অংশীদার আমাদের কাজে বাঁধা দেওয়া মানে দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া।
বর্তমানে সাতক্ষীরা বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে গেলে নীরব চাঁদাবাজির শিকার হতে হচ্ছে আমাদের। আমার কাছে টাকা চেয়েছিলো, তাদের টাকা না দেওয়ায় রাস্তা খুড়ে দেয়। অল্প কিছু কাজ বাকি থাকতে আমাকে চরম ভাবে হেনেস্তা করেছে। পরে পুলিশ পাহারায় কাজটি শেষ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, “উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জানতে পারি বদ্দিপুর সরকারি কাজে বাঁধা দিচ্ছে কিছু বখাটে। পরবর্তীতে আমার একজন সাব-ইনেন্সপেক্টর ও দু’জন কন্সেটেবল পাঠিয়ে সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ করার ব্যবস্থা করি।”
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকৌশলী ইয়াকুব আলী জানান, “কর্পেটিং চলাকালীন সময়ে স্থানীয় কিছু বখাটে ছেলেরা ঠিকাদারের কাছে মোট অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। পরবর্তীতে তাদের আক্রমণাত্মক অবস্থা দেখে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ সদস্যদের পাহারায় কাজটি শেষ করা হয়।

