মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
সুবিধাবঞ্চিত ও অসচ্ছল নারীদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিন মাসব্যাপী দর্জি প্রশিক্ষণ শেষে ৪০ জন নারীর মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মনিরামপুর ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা মিলনায়তনে বসুন্ধরা শুভসংঘ যশোরের মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বসুন্ধরা শুভসংঘ মনিরামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি এস. এম. হাফিজুর রহমান। দৈনিক কালের কণ্ঠের মনিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ বাবুল আকতারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মনিরামপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, নারীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে পরিবার ও সমাজে টেকসই পরিবর্তন আসে। বসুন্ধরা শুভসংঘের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মনিরামপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার মৌসুমী আক্তার, মনিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এস. এম. মজনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন দুষ্টু, মনিরামপুর ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার সভাপতি ও পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ মুহিব বুল্ল্যাহ, অধ্যক্ষ মাওলানা শহিদুল্লাহ, বসুন্ধরা শুভসংঘ কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শফি খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার ঘোষ, মনিরামপুর বসুন্ধরা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান আকাশ এবং দর্জি প্রশিক্ষক মেহেজাবিন রীতা।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক কালের কণ্ঠের কেশবপুর উপজেলা প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম খান, বসুন্ধরা শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বক্তারা বলেন, সেলাই মেশিন শুধু একটি উপকরণ নয়—এটি নারীদের স্বপ্ন, আত্মসম্মান ও স্বাবলম্বী জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রতীক। অনুষ্ঠান শেষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ নারী উন্নয়ন, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণসহ নানা মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইশরাত জাহান মুক্তি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, এই প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন আমাদের জীবনে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। এখন আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারবো।
অনুষ্ঠানজুড়ে নারীদের মুখে ছিল আনন্দ ও আত্মবিশ্বাসের ছাপ। বসুন্ধরা শুভসংঘের কর্মকর্তারা জানান, ভবিষ্যতেও নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

