Nabadhara
ঢাকারবিবার , ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জমে উঠেছে যশোরের শীতবস্ত্রের বাজার

যশোর প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২১, ২০২৫ ৭:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যশোর প্রতিনিধি

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে দেশ, কাঁপছে জনজীবন। দেশের সব জেলাগুলোতে পুরোপুরি শীতের আগমন না হলেও যশোর অঞ্চলে শীতের তীব্রতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।

যশোর বিমানবন্দর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোরে রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১৪ দশমিক ৪। যশোরে হালকা শৈত্যপ্রবাহ চলছে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) এই তাপামাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

হিমশীতল বাতাস যশোরে তীব্র শীত বয়ে নিয়ে এসেছে। আর এই তাপমাত্রার পারদ একটু নিচে নামতেই জমে উঠেছে শহরের শীতবস্ত্রের বাজার। একটু দেরিতে হলেও বেচাবিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা।

শীতের জন্যে গরম কাপড় কিনতে সাধ্যের মধ্যে ক্রেতারা ছুটছেন শপিংমলের বিভিন্ন বিপণিবিতান আর ফুটপাতের দোকানগুলোয়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শীত যতো বাড়ছে- বেচাকেনাও ততো জমজমাট হচ্ছে।

শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শীতের পোশাক কিনতে শহরের মুজিব সড়কের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে আসা শুরু করেছেন ক্রেতারা। যশোরের ফুটপাত থেকে শুরু করে মার্কেটের বড় দোকানে ক্রেতাদের আনাগোণা বেড়েছে।

বিশেষ করে শহরের কালেক্টরেট মার্কেট ও ফুটপাতের জামাকাপড়ের দোকানের ব্যবসায়ীরা এখন তুলনামূলকভাবে বেশি ব্যস্ত। এইসব দোকানে শীতের সোয়েটার, জ্যাকেট, কার্ডিগান, মাফলার, কম্বলসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক ক্রেতাদের জন্য রাখা হয়েছে।

শহরের কালেক্টরেট মসজিদ কমপ্লেক্স মার্কেটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কেনিয়া বলেন, শীতের জামাকাপড় বেচাকেনার বড় অংশ শীতের শুরুতে হয়ে থাকে। এবার সেটা হয়নি। মাত্র কয়েকদিন ধরে জেঁকে বসেছে শীত। আর শীত যতো বাড়ছে, বেচাকেনাও ততো জমজমাট হচ্ছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন, সেকারণে এখন ত্রাণের কম্বলেরও ভালো চাহিদা রয়েছে। ত্রাণের জন্য কেউ কিনতে চাইলে অন্তত চার থেকে পাঁচশত কম্বলের ক্রয়াদেশ দিয়ে থাকে। কেউ কেউ এক থেকে দুই হাজার কম্বলও নেন। বিভিন্ন সংগঠন কম্বল নিলেও এখন বড় আকারের চাহিদা আসছে রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে।

 

অপর ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, হঠাৎ শীতের তীব্রতা আর নির্বাচন- এই দুই কারণে বাজার চাঙা।

মণিরামপুর উপজেলা থেকে আসা ক্রেতা সামিউল ইসলাম জানান, গ্রামের বাজারের সাথে দামের তেমন পার্থক্য না থাকলেও যশোরে এসে পছন্দমতো পোশাক বেছে নিতে সুবিধা হয়েছে।

তিনি দুইটি কানটুপি, ডেনিমের জ্যাকেট এবং নববধূর জন্য কিছু পোশাক কিনেছেন। পরের মাসে বাবা ও মায়ের জন্য কেনাকাটা করার পরিকল্পনার কথাও তিনি জানান।

কালেক্টরেট মার্কেটে আসা ক্রেতা আমির হোসেন জানান, এবার গরম কাপড়ের দাম গতবছরের তুলনায় এবার একটু বেশিই নিচ্ছে দোকানিরা। শীতের পোশাক যদি আরেকটু কম দামে পাওয়া যেতো, তাহলে খেটে খাওয়া নিম্ন ও আর মধ্যবিত্তরা একটু স্বস্তি পেতো। বাজারে শীতবস্ত্রের দাম তুলনামূলক বেশি থাকায় ছিন্নমূল ও দুস্থদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রশাসন ও বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।