হুমায়ন কবির মিরাজ,শার্শা (যশোর)
যশোরের বাঁকড়া এলাকায় আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রথম আরবি, বাংলা ও ইংরেজি মিডিয়াম সমন্বিত ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইশাল ইন্টারন্যাশনাল মডেল একাডেমি-র বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক এবং বিশিষ্ট অতিথিদের অংশগ্রহণে এক আনন্দঘন ও ভাবগম্ভীর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক স্কলার ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন,“একটি আদর্শ জাতি গঠনে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন, যেখানে আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামী আদর্শ ও নৈতিক মূল্যবোধের সমন্বয় থাকবে। ইশাল ইন্টারন্যাশনাল মডেল একাডেমি সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে।”
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিকতা, শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত করাই হওয়া উচিত শিক্ষাব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানের শুরুতে হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাফেজ জোহর আলীর সুমধুর কণ্ঠে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠিত হয়। পরে ইশাল কালচারাল একাডেমির শিল্পী বুশরা খাতুনের পরিবেশিত হৃদয়স্পর্শী নাশিদ উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইশাল ইন্টারন্যাশনাল মডেল একাডেমির উপাধ্যক্ষ মাওলানা আল-আমিন এবং সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা রেজাউল ইসলাম। সভাপতির বক্তব্যে তিনি শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়নে অভিভাবকদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আব্দুল মাজেদ, প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন মাওলানা মফিজুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আহাদুল ইসলাম, ক্লিনিক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ। এছাড়াও যশোরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আয়োজনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলেন।
উল্লেখ্য, ইশাল ইন্টারন্যাশনাল মডেল একাডেমি যশোরের বাঁকড়া এলাকায় প্রথম আরবি, বাংলা ও ইংরেজি মিডিয়াম সমন্বিত ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইতোমধ্যে শিক্ষাঙ্গনে একটি ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও অভিভাবক সমাবেশটি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য এক স্মরণীয় আয়োজন হয়ে ওঠে, যেখানে আধুনিক ও আদর্শভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম গঠনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

