গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ (এমার্জেন্সি) এলাকায় একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির ‘সার্জেল ওয়াইফাই’ ব্যবহারের ঘটনা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
একটি সরকারি হাসপাতালের ভেতরে কীভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ওয়াইফাই ও ওষুধসংক্রান্ত প্রচারণা চালানো হচ্ছে—তা নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা দেখা দিয়েছে ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল স্থান হলো এমার্জেন্সি বিভাগ। সেখানে রোগী ও স্বজনদের ভিড় সবসময় লেগেই থাকে। এই জায়গায় বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির ওয়াইফাই সুবিধা থাকায় পরোক্ষভাবে ওই কোম্পানির ওষুধের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে ধারণা করছেন অনেকে।
এতে সরকারি বিধি-বিধান লঙ্ঘনের আশঙ্কাও রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক রোগীর স্বজন জানান, তারা এমার্জেন্সিতে অবস্থানকালে মোবাইলে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক দেখতে পান, যেখানে ‘সার্জেল’ নামটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
তাদের প্রশ্ন, সরকারি হাসপাতালের ভেতরে এ ধরনের বাণিজ্যিক সুবিধা কীভাবে অনুমোদন পেল ?
এ বিষয়ে সচেতন মহল মনে করছে, সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ কোম্পানির নাম ব্যবহার করে এ ধরনের সুবিধা দেওয়া হলে তা নৈতিকতা ও স্বচ্ছতার প্রশ্ন তোলে। এতে রোগী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়েও সন্দেহ দেখা দেয়।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলার সংশ্লিষ্ট হেলথ কেয়ার কোম্পানির ম্যানেজার হুমায়ুন কবির জানান, ডাক্তাররা চেয়েছেন বলেই আমরা দিয়েছি। ডাক্তারদের চাহিদা অনুযায়ী এটি দেওয়া হয়েছে।
গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেসবাহ উদ্দিন জানান, আমি বর্তমানে ছুটিতে আছি। বিষয়টি খোঁজ নেব।
এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। একই সঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠানে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

