নবধারা ডেস্ক
ইসলামে কথা বলার ক্ষেত্রে শালীনতা, প্রজ্ঞা ও নম্রতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী কাউকে গালি দেওয়া, অপবাদ দেওয়া বা অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়; বরং এটি গুরুতর গুনাহ হিসেবে বিবেচিত।
উত্তম ভাষায় দাওয়াতের নির্দেশ, পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন, মানুষকে তাঁর পথে ডাকতে হবে হিকমত ও সদুপদেশের মাধ্যমে এবং বিতর্ক করতে হবে উত্তম পন্থায় (সূরা নাহল: ১২৫)। এতে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, কঠোর বা কটু ভাষা ইসলামসম্মত নয়।
গালি ও অপবাদে কোরআনের নিষেধাজ্ঞা, সূরা হুজুরাতের ১১ নম্বর আয়াতে একে অপরকে দোষারোপ করা ও খারাপ নামে ডাকা থেকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে যাচাই ছাড়া কোনো সংবাদ প্রচার না করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে (সূরা হুজুরাত: ৬)।
হাদিসে মুমিনের ভাষার পরিচয়, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মুমিন কখনো গালিগালাজকারী, অভিশাপকারী বা অশ্লীলভাষী হতে পারে না।"
অন্য হাদিসে তিনি আরও বলেন, ভালো কথা বলা অথবা অপ্রয়োজনে চুপ থাকাই মুমিনের জন্য উত্তম।
গালিগালাজ গুরুতর গুনাহ, হাদিসে এসেছে, মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসিকি (পাপাচার) এবং তার সঙ্গে লড়াই করা কুফরির সমতুল্য অপরাধ। এতে সমাজে বিভেদ ও নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টি হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রযোজ্য, ইসলামী এই নির্দেশনাগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, সংবাদ পরিবেশন ও জনসমক্ষে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। যাচাই ছাড়া তথ্য প্রচার বা কাউকে অপমান করা ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ।
ইসলামের দৃষ্টিতে বাজে, কটু ও অশ্লীল ভাষা পরিহার করা ফরজ নৈতিক দায়িত্ব। উত্তম, সত্যনিষ্ঠ ও নম্র ভাষা ব্যবহার এবং অপ্রয়োজনীয় কথা এড়িয়ে চলাই একজন মুমিনের প্রকৃত পরিচয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.