আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পুলিশ পরিচয়ে গভীর রাতে হামলার ঘটনা ঘটেছে, যাতে নিহত হয়েছেন বিএনপি নেতা সাইফুল সর্দার (৪৮)। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি আইয়ুব মিয়া (৫৬) ও শফিকুল মিয়া (৩৪) শনিবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে নিহত সাইফুল সর্দারের স্ত্রী ফাতেমা বেগম আলফাডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও এজাহার অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ভোররাত আনুমানিক ৩টার দিকে সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ জাটিগ্রাম গ্রামে নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন সাইফুল সর্দার। তিনি ওই গ্রামের হবি সর্দারের ছেলে এবং আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে জুয়েল মিয়ারের নেতৃত্বে একদল ব্যক্তি পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রথমে সাইফুল সর্দারের বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তাকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে তারা পাশের ইসমাইল মোল্যার বাড়িতেও হামলা চালায়, যেখানে তাকে গুরুতর আহত করা হয়। একই সময়ে অন্তত ১০টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুল সর্দারকে গোপালগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। আহত ইসমাইল মোল্যা বর্তমানে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, “পূর্ব বিরোধের জের ধরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামির গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। এলাকায় শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।”

