শফিকুল ইসলাম সাফা,চিতলমারী
চিতলমারীতে হিমেল হাওয়া ও কুয়াশার সঙ্গে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। শীতের দাপটে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ ও প্রাণীকুল। পাশাপাশি শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
গত দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। এতে রাস্তাঘাট, বাজার ও দোকানপাটে লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে।
শীত থেকে রক্ষা পেতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
গত দুই দিনের শীতের প্রকোপে অনেকে কাজে যেতে না পারায় তাদের দৈনন্দিন আয়ে চরম প্রভাব পড়ছে। ভ্যানচালক রিফাত শেখ ও সফরুল সরদার বলেন, “এই শীতে ভ্যান চালানো খুব কষ্টের হয়ে গেছে। ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে। যাত্রীও কম, শীতের কারণে আয় কমে গেছে। এখন সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।”
মুদি দোকানদার হাফিজুর মোল্লা বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে দোকানে ক্রেতা একেবারেই কম। মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ফলে দোকানের বেচাবিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে। শীত যত বাড়ছে, ততই আমাদের বেচাবিক্রি কমে যাচ্ছে।”
প্রচণ্ড এ শীতের বিষয়ে মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, “উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শীতল বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে কুয়াশা ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া বিরাজ করছে। এই শীত আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।”
এদিকে তীব্র এ শীতে বয়স্ক ও শিশুরা সর্দি-কাশি এবং হাঁপানিজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে বলে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন। শিশু ও বয়স্কদের অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বাইরে না যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

