হাসান শাহরিয়ার পল্লব, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার পাটিআমলাই গ্রামের নাহিদা সুলতানা একজন গৃহবধু। লিখাপড়া জানা সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজের গ্রামকে নিয়ে বহুদিনের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে কাজ করছেন গ্রামের সকল মানুষের সাথে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাটিআমলাই গ্রামে কর্ম-ব্যস্ত নাহিদাকে তিনি একদল স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে গ্রামের রাস্তার দুপাশের লতাপাতা পরিষ্কার করছেন। তার সাথে সহযোগিতা করছেন জেসমিন আক্তার।
তিনিও নাহিদার মতো গ্রামকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। তাই তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে সাথে নিয়ে যোগ দিয়েছেন গ্রামের সামগ্রিক উন্নয়নে। তাদের নিকট থেকে জানা গেল, তারা নিজেদের গ্রামকে পুষ্টি সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর গ্রাম হিসেবে ঘোষণা দিতে চলেছেন।
পাটিআমলাই সরদারপাড়ায় প্রায় ১শ ১৯টি পরিবার আছে। প্রতিটি বাড়িতে হাঁস-মুরগি এবং দেশী গরুর খামার দেখা গেল। প্রত্যেক বাড়ির আঙ্গিনায় প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে শাক-সবজি উৎপাদন করছেন।
পাটিআমলাই গ্রামের মতো পত্নীতলায় ১শ ১০টি গ্রামকে পুষ্টি সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর গ্রামে হিসেবে গড়ে তুলতে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আগামি ২ মাসের মধ্যে এখানকার প্রায় ৫০টি গ্রামকে পুষ্টিসমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলে এলাকা সমন্বয়কারী মো. আসির উদ্দীন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
এভাবেই পর্যায়ক্রমে গ্রামের প্রতিটি পরিবার এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশ সত্যিকার টেকসই উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে নারীরা অবদান রাখবে।

