নবধার ডেস্ক
ইসলামে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহ বাক্য হলো “আলহামদুলিল্লাহ”—যার অর্থ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। এটি শুধু একটি মুখের উচ্চারণ নয়; বরং একজন মুমিনের বিশ্বাস, সন্তুষ্টি ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের প্রতিফলন। সুখ-দুঃখ, স্বাচ্ছন্দ্য-সংকট,
সব অবস্থাতেই এই বাক্যটি আল্লাহকে স্মরণ করার এক শক্তিশালী মাধ্যম।
আলহামদুলিল্লাহ পাঠের গুরুত্ব ও ফজিলত
কৃতজ্ঞতার প্রকাশ, আল্লাহ তায়ালার অগণিত নেয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সর্বোত্তম মাধ্যম হলো “আলহামদুলিল্লাহ”। এটি মানুষকে বিনয়ী ও আল্লাহমুখী করে তোলে।
নেয়ামত বৃদ্ধি,ইসলামি বর্ণনা অনুযায়ী, কৃতজ্ঞ বান্দার ওপর আল্লাহ আরও নেয়ামত বৃদ্ধি করে দেন। নিয়মিত আলহামদুলিল্লাহ পাঠ জীবনের অবস্থা উন্নত করতে সহায়ক।
গুনাহ মাফ ও সওয়াব অর্জন,এটি একটি উত্তম জিকির ও দোয়া, যা সওয়াব বৃদ্ধি করে এবং গুনাহ মাফের কারণ হতে পারে—বিশেষত অসুস্থতা বা কষ্টের সময় ধৈর্যের সঙ্গে পাঠ করলে।
মানসিক শান্তি ও সন্তুষ্টি, আলহামদুলিল্লাহ মানুষের অন্তরে প্রশান্তি আনে, দুশ্চিন্তা কমায় এবং বর্তমান অবস্থার প্রতি সন্তুষ্ট থাকতে শেখায়।
ঈমান ও তাওয়াক্কুল বৃদ্ধি, সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছায় হয়—এই বিশ্বাস দৃঢ় করে আলহামদুলিল্লাহ। ফলে ঈমান শক্তিশালী হয় এবং আল্লাহর ওপর ভরসা বাড়ে।
সর্বোত্তম দোয়া, পবিত্র কোরআনের সূচনা হয়েছে “আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন” দিয়ে, যা এর মর্যাদা ও গুরুত্বের স্পষ্ট প্রমাণ।
বিশেষ ফজিলত, হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি ১০০ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে, তা আল্লাহর পথে ১০০টি ঘোড়া সদকা করার সমতুল্য।”
কখন বলবেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’?
সুখ বা আনন্দের খবর পেলে
কোনো বিপদ থেকে রক্ষা পেলে
অসুস্থতা বা কষ্টের সময়ও
প্রতিদিনের জীবনে নিয়মিত জিকির হিসেবে
“আলহামদুলিল্লাহ” একটি ছোট বাক্য হলেও এর প্রভাব গভীর ও সুদূরপ্রসারী। এটি বান্দা ও আল্লাহর মাঝে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে, জীবনে বরকত আনে এবং হৃদয়কে আলোকিত করে। তাই জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে কৃতজ্ঞতার সাথে বলা হোক—আলহামদুলিল্লাহ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.