রাসেল আহমেদ,খুলনা প্রতিনিধি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকে খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসনের কোনোটিতেই শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেননি কোনো প্রার্থী। এমনকি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতেও কাউকে দেখা যায়নি।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনেও খুলনার কোনো আসনে এনসিপির প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন না।
তবে ব্যতিক্রম হিসেবে খুলনা-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এনসিপির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠক এসএম আরিফুর রহমান মিঠু।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ থেকেই খুলনার বিভিন্ন আসনে এনসিপির ব্যানারে নির্বাচন করতে আগ্রহী বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী সক্রিয় ছিলেন। কেউ কেউ নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগও শুরু করেছিলেন। ফলে দলটির পক্ষ থেকে প্রার্থী ঘোষণার বিষয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে কৌতূহল তৈরি হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয়ভাবে খুলনার ছয়টি আসনের মধ্যে দুটি আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করে এনসিপি। ঘোষিত প্রার্থীরা ছিলেন—খুলনা-২ আসনে দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ফরিদুল হক এবং খুলনা-১ আসনে দক্ষিণাঞ্চল সমন্বয়ক ওয়াহিদুজ্জামান। তবে শেষ পর্যন্ত এই দুই প্রার্থীও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ কিংবা জমা—কোনোটিই দেননি।
এ প্রসঙ্গে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরিদুল হক বলেন, “জোটগতভাবে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনোই আগ্রহী ছিলাম না।
জোটের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আগেই বিষয়টি দলকে জানিয়েছি। যেহেতু দল শেষ পর্যন্ত জোটগতভাবেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাই আমি মনোনয়ন সংগ্রহও করিনি এবং জমাও দেইনি।”
এদিকে এনসিপিতে সাংগঠনিক কোনো পদ না থাকলেও দলটির সংগঠক হিসেবে পরিচিত এসএম আরিফুর রহমান মিঠু খুলনা-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তার এই সিদ্ধান্ত স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনা তৈরি করেছে।
খুলনার ছয়টি আসনে এনসিপির প্রার্থিতা নিয়ে শেষ মুহূর্তে এমন সিদ্ধান্ত দলটির রাজনৈতিক কৌশল ও নির্বাচনী অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.