মেজবা রহমান;স্টাফ রিপোর্টারঃ
শীতের শুরুতেই বেড়ে চলেছে গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(বশেমুরবিপ্রবি) সাপের উপদ্রব।সম্প্রতি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তা,মাঠ, স্কুল, লেকপাড়ও হল সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলছে বিষধর সাপের। সর্বশেষ গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংলগ্ন রাস্তা ও স্বাধীনতা দিবস হলের সামনে গোখরা প্রজাতির সাপের দেখা মিলেছে। এতে করে চরম আতঙ্কে রয়েছেন আবাসিক হলে থাকা শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাসে ঝোপঝাড় বেড়েছে। এগুলো পরিস্কার না থাকায় ক্যাম্পাসের প্রায় সর্বত্রই সাপ দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্লাস শুরুর আগে বিভিন্ন জায়গার ঝোপঝাড় পরিস্কার করলেও জায়গা বিশেষ বেশ ঝোপঝাড় রয়েছে । এর মধ্যে, প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন মাঠ, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের চারপাশ,নিষিদ্ধ চত্বর ও শিক্ষকদের ডরমিটরি চারপাশ বিভিন্ন আগাছা, লতাপাতা আর ঝোপেঝাড়ে পরিপূর্ণ। এসব ঝোপঝাড় থেকে প্রতিনিয়ত সাপ বেড়িয়ে আসছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা ।
এ বিষয়ে বিজয় দিবস হলের এক শিক্ষার্থী রাসেল আহসান বলেন, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা এখনো ঝোপঝাড় মুক্ত হয়নি।করোনাকালীন সময়ে প্রকৃতির আপন গতিতে বৃদ্ধির সাথে সাথে সাপের উপদ্রবও বেড়েছে। এজন্য প্রতিদিনই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি । আমি দ্রুত ঝোপঝাড়গুলো পরিস্কার করার দাবি জানাই ।
শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, বিষধর যে সাপ গুলো দেখা বয়স ৪-৫ মাসের কম নয় । এর মানে ক্যাম্পাসে কোনো মা সাপ অনেকগুলে ডিম ফুটিয়েছে,যার কারণে উপদ্রব টা বেশিই দেখা দিচ্ছে।কোন ধরনের বিপদ ঘটার আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ।
এদিকে নিরাপদ চলাচল ও সাপের বিষ নিবারক ভ্যাক্সিনের জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আবেদনপত্রে ক্যাম্পাসের ঝোপঝাড় মুক্ত ও জেলা সদর হাসপাতালে এন্টিভেনম(Anti-Venom) ভ্যাক্সিন সরবরাহের জন্য আবেদন করা হয়।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোরাদ হোসেন বলেন, সাপের উপদ্রবের বিষয়টি জেনেছি।আমরা দ্রুত ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় কার্বলিক এসিড সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছি। আর শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদে চলাচল করতে পারে এজন্য অবশিষ্ট ঝোপঝাড় গুলো দ্রুত পরিস্কার করা হবে৷
উল্লেখ্য, গোখড়া প্রজাতির সাপের বিষ মূলত একটি শক্তিশালী- - সিনাপটিক নিউরোটক্সিন এবং কার্ডিওটক্সিন সমৃদ্ধ বিষ। যা দংশনের ৪০-৫৫ মিনিটের মধ্যে মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.