ফরিদপুরের নগরকান্দায় গভীর রাতে পৌরসভা ভবনের পাশের একটি সরকারি পুকুরের জমি বাঁশ দিয়ে ঘিরে দখল করে নেয়া হয়েছে। গত ঈদের সময় থেকেই ওই পুকুরে জমি দখলের জোর চেষ্টা চলছিল। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভূমিদস্যুরা সেটি বাঁশ দিয়ে ঘিরে নেয়।
এখানে কিছু জমি লিজ নেয়া। সেসব জমিতে অনেক আগে থেকেই দোকানঘর তোলা হয়েছে। ওই দোকান মালিকেরাই এখন রাতারাতি পুকুরের প্রায় এক-চতুর্থাংশ জমি বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। পুকুরটি রক্ষার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান কাউন্সিলর নাসির।
ছাগলদি গ্রামের আবুল হোসেন ফকির, রাজিব হোসেন, সাইফুল আলম শরিফ, চৌমুখার জিল্লুর রহমান, শশার বদিউজ্জামান শরিফ ও নগরকান্দা সদরের মোশাররফ হোসেন মিয়াকে গত শুক্রবার নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশে অননুমোদিতভাবে ওই স্থানে কোনো স্থাপনা নির্মাণ বা ভরাট না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পুকুরের জমি দখলকারীদের একজন জিল্লুর রহমান দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাদের তিন ভাইয়ের নামে এই পুকুর লাগোয়া তিন শতাংশ জমি রয়েছে। তাই তারা পুকুরের একপাশে বাঁশ গেড়ে ঘিরে রেখেছেন।
নগরকান্দা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাসির মাহমুদ বলেন, নগরকান্দা পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয়ের পাশে প্রায় ২০ শতাংশ জায়গা জুড়ে পুকুরটির অবস্থান। পুকুরের দক্ষিণ পাশে রাস্তা সংলগ্ন কিছু ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি রয়েছে।
নগরকান্দা পৌরমেয়র নিমাই চন্দ্র সরকার বলেন, প্রায় ২০ শতাংশ জমিজুড়ে পুকুরটির বিস্তৃতি। ওই জমি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
মেয়র আরো জানান, এ ব্যাপারে একটি নোটিশ সরেজমিন দেখা গেছে, পুকুরের দক্ষিণ পাশে প্রায় এক চতুর্থাংশ জায়গা বাঁশ গেড়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। সেখানে পুকুর ভরাট করে দোকানঘর তৈরির প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় নগরকান্দা পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দখলকারীদের নোটিশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এনএম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুকুরের জমি দখলের জন্য অনেক আগে থেকেই চেষ্টা চলছে। সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাগজপত্র দেখাতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।