আমাদের অফিসে বিদ্যুৎ বিলের ফ্রেস কাগজ ছিলোনা।তাই গোপালগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে কাগজ এনেছি তিন/চার দিন আগে। সেগুলোই বিল বসিয়ে প্রিন্ট দিতে দেরি হওয়ায় গ্রাহকরা এই সমস্যায় পড়েছে। তাদের বেশির ভাগেরই জরিমানা গুনতে হবে এ মাসে কথাগুলো বলছিলেন পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুতের আওতায় স্বরূপকাঠি জোনাল অফিসেরএক লাইন ম্যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছু ওই লাইনম্যান বলেন তবে এ সমস্যার সমাধান ডিজিএম করতে পারেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বিলিং সুপারভাইজার সংযুক্তার সাথে তিনি বলেন যেসব গ্রাহকের বিল দেয়ার শেষ তারিখ মে মাসের শেষ ও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ। তাদের প্রত্যেককেই বিদ্যুৎ বিল জরিমানা সহ দিতে হবে চলতি মাসে।তিনি আরো যোগ করেন আমি ফ্রেস বিল পেপার পেয়েছি ২৯ মে। সেদিন থেকেই রাতদিন কাজ করে যাচ্ছি। এই সপ্তাহের পরে যাদের বিল দেয়ার তারিখ রয়েছে তাদের হাতেও আমরা নিয়ম মাফিক বিল পেপার দিতে পারবোনা। তবে আশা করছি সামনের মাস থেকে এ সমস্যা থাকবেনা।
সংশ্লিস্ট অফিসের এজিএমকম বলেন সাধারনত গ্রাহককে বিল পরিশোধের ১৫ দিন পূর্বে বিল পেপার আমরা দেই। কিন্ত এ মাসে অফিস সম্যার জন্যই গ্রাহককে জরিমানা গুনতে হবে। স্বরূপকাঠি উপজেলার ২০২০/২১ অর্থবছরে ৬৫৯১১ জন গ্রাহক রয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ এ অফিসের আওতায়।
অফিস সূত্র জানায় এ সংখা চলতি অর্থবছরে আরো প্রায় ১৫ হাজারের মতো যোগ হবে। এই ৮০ হাজার গ্রাহকের প্রায় এক তৃতীয়াংশকেই এমাসে জরিমানা দিতে হবে অফিসকে। এ ব্যাপারে সোহাগদল ইউপির এক গ্রাহক বলেন আমার বিদ্যুৎ বিলে পরিশোধের তারিখ দেয়া রয়েছে ২ জুন ২০২২। কিন্ত আমাকে বিল পেপার দিয়ে আসছে জুুনের ১ তারিখ বিকেলে।২ তারিখ বৃহস্পতিবার হাটের দিন থাকায় বিল দিতে যেতে পারিনি।আমার ইচ্ছা না থাকলেও অফিস ভুলে আমাকে মোট বিলের ৫% জরিমানা দিতে হবে এমাসে।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম জোনাল ম্যানেজার ওয়াহিদুজ্জামান নবধারা কে বলেন কাগজ সল্পতা এবং কারেন্ট না থাকার কারনে এ সমস্যা হয়েছে। তবে আমার কাছে কেহ বিল পেপার নিয়ে আসলে আমি সেটা বিশেষ বিবেচনায় দেখবো তার জরিমানা মাফ করা হবে।তবে সেটা কতদিন ধরে চালু থাকবে এ ব্যাপারে তিনি কোনো নিশ্চয়তা দেননি।