স্বরূপকাঠি উপজেলার গুয়ারেখা ইউপিতে রাজবাড়ি ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসি।
বৃহস্পতিবার কলেজ চলাকালিন সময়ে এ বিক্ষোভ মিছিল কলেজ চত্তরে অনুষ্টিত হয়।
এসময় পান্নু শিকদার সহ বিভিন্ন বক্তা বক্তব্য রাখেন।তারা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রহিমা খাতুনের অপসারন ও আহ্বায়ক কমিটি অতিদ্রুত বাতিল চেয়ে শ্লোগান দেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান, মৎস ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর ডিও লেটারে আহ্বায়ক করা হয় জাহিদুল হক খোকনকে ।এখানে আমার কোনো হাত নেই।আমি ৫ সদস্যের একটি কমিটির নাম প্রস্তাব করে সংশ্লিস্ট দপ্তরে পাঠিয়েছিলাম কিন্ত সেটা এপ্রুভ হয়নি।তবে ওই ৫ সদস্যের কারো নাম তিনি বলতে পারেননি। এ সময় কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক ফজলুল হককে তার কক্ষে ঢেকে আনলে তিনিও কারো নাম বলতে পারেননি।
পরবর্তীতে অধ্যক্ষ বলেন প্রত্যেকের নাম সহ সবকিছুই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ফকির নাসিরুদ্দিন বলতে পারবেন।
এদিকে মুঠোফোনে ফকির নাসিরুদ্দিন বলেন অনেকদিন ধরে কলেজের সাথে আমার যোগাযোগ নেই।যেহেতু যোগাযোগ নেই সেহেতু অফিসিয়ালভাবে আমি এই কমিটির কারও নামও জানিনা। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় কলেজ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি পৌর মেয়র জি এম কবিরের সাথে।
তিনি বলেন ওখানে দায়িত্ব পালনকালে আমার মনে হয়নি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন বা বিক্ষোভ হতে পারে।তবে যেটা হয়েছে তা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত সকলের জন্যই কস্টদায়ক। এ ব্যাপারে কথা হয় বর্তমান পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জাহিদুল হক খোকনের সাথে।
মুঠোফোনে তিনি জানান আমি এখন ঢাকায়।আমি কলেজের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছি ২০২১ ইংরেজী সনের জুন মাস থেকে। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কলেজের বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো ও শিক্ষার মান উন্নয়নে পরিশ্রম করে যাচ্ছি।আমার সময়ে এই কলেজে এইচএসসির রেজাল্টে একাধিক এ প্লাস পেয়েছে।আড়াই লক্ষ টাকা কলেজের নামে এফবিআর করেছি।এসব কাজ দেখে একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। এরা মুলত কলেজের উন্নয়ন নয়,কলেজকে সামনে রেখে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্যই আজকের এ মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছে।