উপজেলার গুয়ারেখা ইউপির বড় বাড়ি থেকে উদ্ধারকৃত নকল বোমার রহস্য উদঘাটন হয়নি ১০ দিনেও।গত ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার গভীর রাতে ওই বাড়ির শেখ ওবায়দুল্লাহর ১ তলা বিল্ডিং এর ছাদ থেকে বোমা সদৃশ্য ৫টি ঝর্দার কৌটা উদ্ধার করে পাটিকেল বাড়ি পুলিশ ফারির দায়িত্বরত অফিসার মোঃ নাসির। কসটেপ প্যাচানো সিলেট চান বালুতে ভরা ঝর্দার কৌটাগুলো উদ্ধার করে রাতেই থানায় নিয়ে আসেন বলে জানান ওবায়দুল্লাহ।তিনি বলেন রাত ২ টায় স্বরূপকাঠি উপজেলার পাটিকেল বাড়ি ফাড়ির এস আই নাসির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আমার বাসভবনে অভিযান চালায়।এসময় তারা আমার বিল্ডিংয়ের ছাদে বোমা রয়েছে বলে দাবী করে। আমি তাদের কথা মতো বিল্ডিংয়ের ছাদে নিয়ে যাই।তারা ছাদে গিয়ে ৫ টি কালো কসটেপ পেচানো ঝর্দার কৌটা পায়।প্রায় ঘন্টা ব্যাপী আমাকে জেরা করার পরে পুলিশ এগুলা নিয়ে ফারিতে চলে যায়।
ওবায়দুল জানান এ ঘটনার পরে দুইদিন আমাকে ফারিতে ডেকে নেয় পুলিশ।আমি তাদের কাছে বারবার জানতে চাই এই বিষয়ে কে আপনাদের অবগত করেছে।তারা তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাবেনা বলে জানালেও আমার কাছে জানতে চান কে আমার সাথে শত্রুতা করে এমন কাজ করেছে।ওবায়দুল্লাহ বলেন এ ঘটনার পরেরদিন আমার বাড়ির কাউয়ুম শেখকে থানায় ডেকে নেয় একই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বলে আমি জানতে পারি। এদিকে কাইউম শেখের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ঘটনার পরে আমাকে থানায় ডেকে নেয়।কারন ঘটনার দিন রাত ১২ টার দিকে আমাকে একটা অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দেয়। আমি রিসিভ করলেও অপর প্রান্ত থেকে কোনো শব্দ আসেনি তাই সংযোগ কেটে দেই। ওই এ ক ই নম্বর থেকেই বোমা থাকার কথা থানায় অবগত করে বলে আমি জানতে পারি।আমার মোবাইলে ওই নম্বর থেকে কল আসায় আমাকে থানায় একটি জিডি করার পরামর্শ দেয় থানা প্রশাসন বলে জানান কাইয়ুম।তিনি বলেন যারা আমার বাবাকে হত্যা করেছে তারাই সাজা খেটে বের হয়ে আমাদের দুই পরিবারের মধ্যে দন্ধ লাগানোর পায়তারায় এ ধরনের কাজ করছে প্রতিনিয়ত।
এদিকে এ বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করা হয় অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া পুলিশ অফিসার মোঃ নাসিরের সাথে।তিনি বলেন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।আমরাও চেস্টা করে যাচ্ছি এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনের।