নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের সড়াতলা গ্রামে আছিয়া বেগম(২২) নামে এক গৃহবধুকে গলা কেটে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামী রনি শেখ (২৪) ও তার বন্ধু প্রধান সহযোগী আব্বাস ফকির(২২) সহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে নড়াইল জেলা পুলিশ।
ঘটনার ১৫ ঘন্টার মধ্যে নড়াইলসহ পাশ^বর্তী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে। গত ৪ নভেম্বর দুপুরে স্বামী রনি শেখের পরকীয়ার বলি হন স্ত্রী আছিয়া।
পুলিশ জানায়, চাঞ্চল্যকর আছিয়া হত্যার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন গুরুত্বের সাথে অভিযান শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তিসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোর রাতে আছিয়ার স্বামী রনি শেখকে কালিয়া থেকে গ্রেফতার করে। এছাড়া রনির প্রধান সহযোগী তার বন্ধু একই গ্রামের জামির ফকিরের ছেলে আব্বাসকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে হত্যাকান্ডের পনের ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে। এছাড়া ঘটনার পর রনির পিতা মো: লিটু শেখ (৫৫) এবং তার দুই ভাই ইমরান শেখ(২৮) ও রুবেল শেখকে (২৬) গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, সাড়ে তিন বছর আগে সড়াতলা গ্রাামের রনি শেখের সাথে একই গ্রামের এখলাছ শিকদারের মেয়ে আছিয়া বেগমের সাথে বিয় হয়। তাঁদের আড়াই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এলাকাবাসী জানায় রনির অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক থাকার কারণে তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে রনিদের বসতঘরের জানালা দিয়ে আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নেভান। এরপর দেখা যায় বিছানায় আছিয়ার গলাকাটা ও পুড়ে যাওয়া মরদেহ। আগুনে বিছানার চাদর, তোষক, কাথা ও আছিয়ার গায়ের কাপড় পুড়ে যায়।
নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের মা রেবেকা বেগম বাদী হয়ে ৮জনকে আসামী করে সদর থানায় মামলা করেছে। মামলা নং-৮, তারিখ- ০৫/১১/২০২২ইং। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নড়াইল সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ওবায়দুর রহমান। ইতিমধ্যে আসামী রনি ও আব্বাস আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছে।’
নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোসাঃ সাদিরা খাতুন নবধারা কে বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই বর্বর হত্যাকান্ডের পেছনে থাকা আছিয়ার স্বামীসহ মামলার পাঁচ আসামীকে ঘটনার পনের ঘন্টার মধ্যে নড়াইল জেলা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।