আদালতে মামলা চলমান থাকলেও চেয়ারম্যানের আদেশে বিরোধিয় সম্পত্তি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।স্বরূপকাঠি উপজেলার বলদিয়া ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডে ঘটেছে এমন ঘটনা।
এমনকি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বখাটের দায়ের কোপে গুরুতর যখম হয়ে বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে হালিমা (৩৮) নামক এক মহিলাকে।এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানায় অভিযোগ করার পরও নির্যাতিতা নাসিমা পায়নি কোনো আইনি সহযোগিতা বলে অভিযোগ করেন নাসিমা। নাসিমা বলেন বলদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান সাইদ আহম্মেদের সামনেই আঃ হালিমের ছেলে ২০১৫ ইং সনে স্বরূপকাঠি থানায় ৬/৯৩ নং অস্র মামলার মামলার ৭ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ রোমান ৩২।ছয় মাস সাজাখাটার পর জামিনে বের হয়ে আসার কয়েক দিনের মধ্যেই আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দাও দিয়ে কোপ দেয়। আমি হাত দিয়ে কোপ থামাতে গেলে আমার ডান হাতের আঙ্গুল কেটে যায় এবং আমি মাটিতে পরে যাই। তৎক্ষনাৎ একাধিক লোক আমাকে লাথি মারতে থাকে ও আমার বুকের উপর রুম্মন দাড়িয়ে থেকে আমাকে মেরে ফেলতে চায়।এসময় উপস্থিত আলমগীর, শামিম,ফাতেমা,ছালেক, ইউনুস, হানিফ সহ আরো কয়েকজন আমাকে উদ্ধার করে স্বরূপকাঠি হাসপাতালে নিয়া যায়।সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায় আমার স্বজনরা।এসময় ওরা আমার লক্ষাধিক টাকার ফলদ গাছ সহ নানা প্রজাতির গাছ কেটে ফেলে।আমি ১৫ দিন পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি আসলে বেড়ে যায় রুম্মন ও তার পরিবারের অব্যহত প্রাননাশের হুমকি।
এদিকে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন চেয়ারম্যান সাইদ মিয়া নিজেই বিরোধিয় এ সম্পত্তিতে বেড়া দেয়ার আদেশ দেন আমাদের সামনেই।এসময় বেড়া দিতে বাধা দিলে চেয়ারম্যানের আদেশে হালিম,রোমান,সামসুল হক,সাইদুর রহমান,মজনু,সুমন,রফিকসহ আরো অনেকেই নাসিমাকে লাথি কিল ঘুসি মারতে থাকে।
যার জন্য যায়গা দখল করা সেই আঃ হালিম জানান ২০১৭ সনে পিরোজপুর দেওয়ানী আদালতে ২৭ নং মামলায় বন্ঠনের আবেদন করি আমি। সেই মামলা এখনও চলমান রয়েছে।
মামলা চলমান থাকার মধ্যে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে যায়গা দখল নিলেন কিভাবে জানতে চাইলে বলেন,এটা চেয়াম্যানের ব্যাপার, আমি তাকে জানিয়েছি সব কিছু, তিনি দখল নিতে বলেছেন।আমি লোকজন নিয়ে দখল নিয়েছি।
হালিমের স্ত্রী বলেন চেয়ারম্যান এখানে উপস্থিত ছিলেন এবং তার সামনেই আমরা ওই স্থানে ঘর তুলি এবং বেড়া দেই।
বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে চেয়ারম্যান মোঃ সাইদ মিয়া জানান আমি ওখানে উপস্থিত থাকলেও ঘর তোলা এবং বেড়া দেয়া আমার সামনে হয়নি।
এদিকে পিরোজপুর জেলা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি মো.আলাউদ্দিন বলেন সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২ এর ৫২ ধারায় বলা হয়েছে যে, এখতিয়ারবিশিষ্ট কোন আদালতে স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে কোনও মামলা বা কার্যক্রম চলাকালীন কোনও পক্ষই আদালতের অনুমতি ব্যতীত উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তর বা অন্য কোনভাবে ব্যবহার করতে পারবে না, যার ফলে আদালতের কোনও ডিক্রি বা আদেশ দ্বারা প্রাপ্ত কোনও পক্ষের কোনও অধিকারকে ক্ষুন্ন করবে।
এ আইন অনুসারে কোনো পক্ষই কারো কথায় যায়গা জবর দখল করতে পারেন না,এটা আইনের খেলাপ করা।