গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী ১২ হাজারের বেশি।তবে তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নেই কোনো বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসক। এতে করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিবছর চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বার্ষিক ফি নিচ্ছেন কিন্তু তারা সেই অনুপাতে সেবা পাচ্ছেন না।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দুপুরের পরে চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায়না।শিক্ষার্থীরা ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবার জন্য।
চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসকদের এমন অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের অফিসার রোকাইয়া আলম বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী ১হাজার রোগীর পেছনে চিকিৎসকের সংখ্যা ১জন থাকে। সে অনুযায়ী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর কথা যদি চিন্তা করা হয় তাহলে ১২হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ১২জন চিকিৎসকের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমরা ৩জন ডাক্তার ১২হাজার শিক্ষার্থীর জন্য কাজ করে থাকি, যেটি আমাদের জন্য খুবই সমস্যার সৃষ্টি করে৷ তবে ইতিমধ্যে আমরা রেজিস্ট্রার বরাবর নতুন চিকিৎসক নিয়োগ করার জন্য লিখিতভাবে আবেদন করেছি। আবেদনপত্রে নতুন করে ২জন পুরুষ চিকিৎসক এবং ২জন মহিলা চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, নতুন চিকিৎসক নিয়োগ হলে শিক্ষার্থীরা হয়তো বর্তমান সমস্যা গুলো থেকে পরিত্রান পাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসকের ঘাটতি এবং নতুন চিকিৎসক নিয়োগ সম্পর্কিত বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসকের ঘাটতির বিষয়টি আমরা জানি। এবং মেডিকেল সেন্টার থেকে নতুন চিকিৎসক নিয়োগ প্রদানের জন্য আবেদন পেয়েছি। যার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চিকিৎসক নিয়োগ করার জন্য ইউজিসি বরাবর মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
এসময় তিনি আরও বলেন ইউজিসি থেকে চিকিৎসকের জন্য তিনটি পোস্ট দেওয়া হয়েছিল যার কারনে বেশি সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। নতুন করে পোস্ট আসলে আমরা চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে দিব।