নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কলামন খালী গ্রামের তোহিদুর রহমানের রেকর্ডীও জমি থেকে গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে বাবরা গ্রামের মৃত আঃ জলিল শেখের ছেলে ও কালিয়া সরকারি আব্দুস সালাম ডিগ্রি কলেজের প্রফেসর মাহাবুর শেখের বিরুদ্ধে। ২৬ মার্চ বিকেলে ওই ইউনিয়নে সরেজমিনে গেলে জানা যায়, ভুক্তভোগী ঢাকায় চাকুরীরত থাকায় ২৩ মার্চ ওই জমির ৭/৮ টি কাঠের গাছ তিনি পার্শ্ববর্তী নোয়াগ্রামের গাছের ব্যপারী কালাম মোন্ডলের নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন। অতঃপর এ ঘটনার বিচার চেয়ে তোহিদুর রহমান কালিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তোহিদুর রহমান ওই গ্রামের মৃত সাখাওয়াত মাষ্টারের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাবরা মৌজায় ভুক্তভোগীর পিতার নামে রেকর্ডকৃত ৩২৯ খতিয়ানের ৬৮১ দাগের ২৬ শতক জমিতে বসতি স্থাপন করে ভোগদখলে আছেন। চাকুরী সূত্রে ঢাকায় অবস্থান করায় অভিযুক্ত মাহাবুব শেখ তার দলীয় লোকদেরবাবরা গ্রামের মোস্তফা শেখের ছেলে নাসির শেখ ও মৃত আবু আসাদ ওরফে কালামিয়া শেখের ছেলে হাবিবুর রহমানের সহযোগিতায় গাছগুলি ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে শুষ্ঠ বিচার দাবী করেছেন ভুক্তভোগী তোহিদুর শেখ।
৭ নং ওয়ার্ড সদস্য এস এম আশরাফুল আলম ও স্থানীয় পল্টুসহ অনেকে জানান, ওই জমিতে ১৪৪ ধারা চলমান ছিল। কিন্তু মাহাবুব প্রফেসর কিসের ভিত্তি ওই গাছগুলো বিক্রি করলো তা আমার বোধগোম্য নয়। তবে ওই জমি তোহিদুরদের রেকর্ডীও পৈত্রিক সম্পত্তি বলে জানি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাহাবুব প্রফেসরের সাথে ফোনে কথা হলে বলেন, ওই জমির মূল মালিক সাবেক ইউপি সচিব সাহাবুদ্দিন। ১৯৬২ সালে আমার পিতা মৃত আঃ জলিল মূল মালিকের কাছ থেকে এওয়াজ নেওয়ার পর থেকে আমরা ভোগ দখলে আছি। আমি আমার জমির গাছ বিক্রি করেছি। ওই জমিতে আমিই ৪৪ ধারা করে প্রত্যাহার করে নিয়েছি। বর্তমানে জমিতে কোন মামলা চলমান নেই।
কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাসমীম আলম বলেন, থানায় অনেক অভিযোগ আসে, সবটাই আমার জানা থাকেনা। এটার বিষয়েও আমার নলেজে নেই বলে জানান।