মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, স্বরুপকাঠি প্রতিনিধিঃ
নেছারাবাদে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবার নামের স্থানে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন মেয়ে ছালমা বেগম (৪৩)।সরজমিনে গুয়ারেখা ইউপির হালদার বাড়িতে কথা হয় সালমা বেগম ও তার স্বামী ফারুক হালদারের সাথে।
সালমা বেগম জানান ১৯৯৬ সনে আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ এর মৃত্যুর পর মা হাওয়া বেগম মুক্তিযোদ্ধা ভাতাভোগী হিসেবে ত তালিকাভুক্ত হন।৭ বছর পূর্বে মা হাওয়া বেগম মারা যান। এরপর ভাতাভোগী হিসেবে তিন ভাইবোনের সম্মতিতে আমাকে তালিকাভুক্ত করা হয়।সে অনুসারেই সন্মানী তুলে আমারা ৪ ভাইবোন ভাগ করে নেই বলে জানান সালমা বেগম।
এদিকে চলতি বছরের ২৫ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় সর্বশেষ সংশোধিত গেজেটে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশিত হয়। এতে নেছারাবাদের ৩৭৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকাভুক্ত হয়। এ তালিকায় ১১১০ নং ক্রমিকে গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গুয়ারেখার সালমা বেগম রয়েছে।যার বেসামরিক গেজেট ১৯৪৮ নং ও লাল মুক্তিবার্তা নম্বর ০৬০৫০৭০০১৬।
পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধার গেজেটে ১৯৭৮ সনে জন্মগ্রহন করা সালমা বেগমের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন আমি এর কিছুই জানিনা।আর এই যে গেজেট নম্বর ও মুক্তিবার্তা নম্বর তা আমার মরহুম বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালামের। তবে উপজেলা সমাজসেবা অফিস আমার কাছ থেকে কাগজপত্র নিয়েছিলো তারাই বলতে পারবে কিভাবে আমার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আসলো।
এ বিসয়ে গুয়ারেখা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার আব্দুর রব নবধারা কে বলেন, একজন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার নামের স্থানে তার সন্তানের নাম অন্তর্ভূক্ত হওয়া কোনো ভাবেই সমিচিন নয়। কথা হয় নেছারাবাদ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তপন বিশ্বাসের সাথে। তিনি বলেন আমার একজন মাত্র অফিস সহকারী এ কারনে হয়ত ঝামেলা হতে পারে। এটা সংশোধনের সুযোগ থাকলে অবশ্যই সংশোধন করা যাবে। আমি ওনাকে অফিসে ডেকে এনে এটা সংশোধন করে দিবো।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় নেছারাবাদ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাখাওয়াত সাহেবের সাথে।তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই।