1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন

ফরিদপুরে ১১ বছরে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ২৩ শতাংশ

সনত চক্র বর্ত্তী, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪
  • ৭৭ জন নিউজটি পড়েছেন।

সনত চক্র বর্ত্তী, ফরিদপুর:

ফরিদপুরে ১১ বছরের ব্যবধানে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ২৩ দশমিক ১৭ শতাংশ। পাশাপাশি জনসংখ্যার দিক থেকে নারীরা পুরুষ থেকে এগিয়ে আছে।

 

ফরিদপুরে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) প্রকাশিত জনশুমারি ও জনগণনার জেলা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জনশুমারি ও জনগণনার জেলা প্রতিবেদনের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপ-পরিচালক মীনাক্ষী বিশ্বাস। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।

 

বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস।

 

এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফরিদপুরের মোট জনসংখ্যা ২১ লাখ ৬২ হাজার ৮৭৯ জন।

 

এর মধ্যে পুরুষ ১০ লাখ ৫০ হাজার ৩৭৭ জন, যা মোট জনসংখ্যার ৪৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর নারী ১১ লাখ ১২ হাজার ৩৭৭, যা মোট জনসংখ্যার ৫১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এছাড়া জেলায় তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী আছে ১২৫ জন।

 

ফরিদপুরে সাত বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ১৩ শতাংশ। এর মধ্যে নারী ৭১ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং পুরুষ ৭৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। ২০১১ সালের শুমারি অনুসারে জেলায় সাক্ষরতার হার ছিল ৪৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। অর্থাৎ ১১ বছরের ব্যবধানে ফরিদপুরে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ২৩ দশমিক ১৭ শতাংশ।

 

অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের মূল বিষয়বস্তু তুলে ধরেন পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মীনাক্ষী বিশ্বাস। তিনি বিগত শুমারির সঙ্গে এবারের শুমারির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দেখান।

 

জেলার জনসংখ্যার গড় বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ০৯ শতাংশ, যা ২০১১ সালে ছিল ০ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং ২০০১ সালে ছিল ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

 

জেলার সবচেয়ে কম জনসংখ্যা অধ্যুষিত উপজেলা হচ্ছে চরভদ্রাসন (৭০ হাজার ৯২৩ জন) এবং বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত উপজেলা ফরিদপুর সদর (৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫৫৭ জন)।

 

১০ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে কৃষিকাজে নিয়োজিত ৪৯ দশমিক ২৮ শতাংশ, সেবা খাতে কাজে নিয়োজিত ৪১ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং শিল্প খাতে ০৯ দশমিক ০০ শতাংশ।

 

১৫ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর হার ৬৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং একই বয়সীদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ৩৬ দশমিক ২১ শতাংশ।

 

জেলার মোট পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ৮৭৭টি খানার মধ্যে চার লাখ এক হাজার ৭৭ খানার অধিবাসীরা পল্লী এলাকায় বসবাস করে এবং শহর এলাকায় বসবাসকারী খানার সংখ্যা এক লাখ ২৪ হাজার ৮০০। ৯৯ দশমিক ০৫ শতাংশ খানায় বিদ্যুৎ সুবিধা আছে। এই জেলার খাবার পানির প্রধান উৎস টিউবওয়েল (গভীর/অগভীর)।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন,  প্রকাশিত এ প্রতিবেদনের আলোকে আগামী দিনে ফরিদপুরের যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালিত হবে। কোন জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, কোন ক্ষেত্রকে উৎসাহিত করতে হবে তার বাতাবরণ হবে জেলা প্রতিবেদন।

 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মো. শাহজাহান, সাংবাদিক পান্না বালা, এনজিও ব্যক্তিত্ব আনম ফজলুর হাদী, নারী নেত্রী আসমা আক্তার মুক্তা প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION