আহাদুল ইসলাম জয়, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিবেদক
কোটা বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের বাঁধা ও হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা হামলার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেন।
শুক্রবার(১২জুলাই) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৭ঘটিকায় মশাল মিছিল বের করে কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীরা। মশাল মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লিপুস ক্যান্টিনের সামনে থেকে শুরু হয়। এরপর নিউ মার্কেট এলাকা ও প্রধান ফটক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গান্ডু চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী মশাল হাতে নিয়ে মিছিলে অংশগ্রহন করেন।
জানা যায়, গতকাল ১১জুলাই সারাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থী ও চাকরী প্রার্থীরা। এসময় আন্দোলনে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারশেল এবং কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে। এতে আহত হন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুবি) কয়েকজন শিক্ষার্থী। এছাড়া অনেক গণমাধ্যমকর্মীও পুলিশের হামলায় আহত হন বলে জানা যায়। আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং রংপুর সহ সারা বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলা চালায়। আমরা এই হামলার বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করছি। সরকার যদি কোটা প্রথা বাতিল না করে তাহলে আমাদের আন্দোলন আরো জোড়দার করা হবে।
এবিষয়ে পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত বলেন,
কুমিল্লায় আক্রমণ করে দমিয়ে দেবেন? চট্টগ্রাম আক্রমণ করে দেবেন? রংপুর আক্রমণ করে দমিয়ে দেবেন? ভুলে যাবেন না বাংলাদেশের ৫০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আজকে সোচ্চার। ভুলেও এই দুঃসাহস দেখাবেন না ছাত্রদের উপরে। আমরা ৫২ তে জিতেছি। আমরা ৬৯ এ ও লড়াই করে জিতেছি। একাত্তরে জিতেছি। ১৮তে ও আমাদের জয় হয়েছে ইনশাল্লাহ ২৪ শে ও আমাদের জয় হবে।
বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল সম্পর্কে লোকপ্রশাসন বিভাগ ২০১৭-১৮ শিক্ষার্থী সুবর্ণা জয় বলেন, আমরা কোটা চাই না। আমরা সমান অধিকার চাই। আমাদের কোটা দিয়ে আলাদা করে দেখার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা মেধা দিয়ে চাকরী পেতে চাই। সুতরাং কোটা প্রথা বাতিল করতে হবে। এই প্রথা বাতিল না করলে আমাদের আন্দোলন আরো জোড়দার করা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের কোটার আওতায় আনা উচিত। বাকি সবধরনের কোটা প্রথা বাতিল করতে হবে।