আব্দুল্লাহ আল আফনান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
সারাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলা ও শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বাম নেতৃবৃন্দ। এসময় তারা অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে নিরাপদ ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের দাবি জানান।
বুধবার (১৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৩ সালে সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কারের জন্য যে দাবি তোলা হয়, তা ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে একটি যৌক্তিক পরিণতি পেতে পারত। কিন্তু বাংলাদেশের মহান সংবিধানে সমাজের সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য কোটার বিধান বর্ণিত থাকলেও ২০১৮ সালে সরকার কোটাপদ্ধতি বাতিল করে দেয়, যা আজকের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
এতে বলা হয়, দেশব্যাপী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানীর ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। আমরা সকল হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই। চলমান আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ ও ১৫ জন আহতের ঘটনা ঘটে বলে আমরা জানতে পেরেছি। সেই সঙ্গে জবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের প্রবেশ, দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা, হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা গ্রহণে বাধা প্রদানের ঘটনাবলী আমাদেরকে যারপরনাই বিক্ষুব্ধ করেছে। ছাত্রদের আন্দোলনকে মোকাবেলা করতে সরকার যে বলপ্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেছে তা কোনোভাবেই একটি গণতান্ত্রিক দেশে কাম্য নয়।
পরিস্থিতি ঘোলাটে করে সরকার এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে উল্লেখ করে বলেন, অতিদ্রুত যৌক্তিক সংস্কারের মাধ্যমে কোটা ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করে শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়াই সমীচীন হবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি। গত দুইদিনের সংহিস ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের চিকিৎসা ও নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি আমরা।
বিবৃতিতে সাক্ষর করেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ আবির, জাহিদুল ইসলাম সজিব, লাকি আকতার ও খায়রুল হাসান জাহিন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানা, কিশোর কুমার সরকার, প্রসেনজিৎ সরকার, মোনায়েম হোসেন, সহ সভাপতি স্মরণ দাস, সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক তিথি সরকার, কৌশিক আহমেদ, সহ সম্পাদক আইরিন সুলতানা, দপ্তর সম্পাদক তাহমিদুর রহমান, তপু সারোয়ার, সদস্য ইসরাত জাহান গোধুলী।